দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক হয়নি: রফিক-উল হক
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়াকে কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না মর্মে হাইকোর্টের রুলের উপর শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালতকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি তার পরামর্শে দশম সংসদ নির্বাচন আইনের দৃষ্টিতে সঠিক নয় বলে মত দেন। এ বিষয়ে গতকাল এমিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামাল হোসেন আদালতে যে পরামর্শ দিয়েছেন এর সঙ্গে একমত পোষণ করেন তিনি। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তার লিখিত পরামর্শে বলেন, ‘সংবিধানের ৬৫(২) ধারা অনুযায়ী কোনো একটি আসনের নির্বাচন হতে হলে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতে হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে সেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। তাই এটা সঠিক নির্বাচন হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে সংসদ বা উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দুই বার নির্বাচন করার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি মধ্যবর্তী নির্বাচনের পক্ষেও মত দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ত্রুটিযুক্ত অভিহিত করে বলেন, ‘আরেকটি নির্বাচন চাই। না হয় জনগণ এবং ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম একটি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এই বেঞ্চ রুল দেন। ১২ মার্চ আদালত রুল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দিতে সাতজনের নাম ঘোষণা করেন।