দুর্নীতিতে ঘেরা নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীর বিছানায় কুকুরের স্থান

Capture৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উক্ত হাসপাতাল এমনই দুর্নীতিতে ঘেরা যা শুধূমাত্র বাইরের দৃশ্য দেখে ধারনা করা অসম্ভব। কেননা হাসপাতালের অন্তারালে লুকিয়ে আছে কতিপয় মোখশধারী রাঘব বোয়াল যাদের কার্যকলাপ অতি সুক্ষè। উক্ত হাসপাতালের আর.এম.ও ডাঃ এমরান, তিনি তো ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘন্টাই ব্যস্ত থাকেন কোন কৌশলে হাসপাতালের ভর্তিরত রোগীকে বাসায় নিয়ে ভিজিট আদায় করা যায়। এমনকি তিনি উক্ত হাসপাতালের ভিতরে অবস্থিত কোয়ার্টারে গড়ে তুলেছেন এক ভিন্ন হাসপাতাল, যেখানে প্রয়োজন নিরর্থক অর্থ্য এবং উক্ত মনগড়া হাসপাতালের প্রধান তিনি নিজেই । এছাড়াও ডাঃ এমরানের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী (সাথী)- সার্জন গাইনী তিনিও সারা দিন ব্যস্ত থাকেন কিভাবে ডাইরিয়ার রোগীকেও আল্ট্রাসনোগ্রাফী করানো যায়। এমন চরিত্রের আরেকজন ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান, তিনি তো বি.এন.পির বড় নেতা, সেই সাথে তার দাপটও আলাদা। নির্দিষ্ট কয়েকটি ঔষুধ কোম্পানীর প্রেসক্রিপশন করাই তার নিত্যদিনের কাজ, প্রতিনিয়তই তার চেম্বারে দেখা যায় রিপ্রেজেন্টটেটিভদের ভীর। মাস গেলেই তাদের সরকারী বেতন, কথায় আছে না হাতি মরলেও লাখ বাচলেও লাখ। বাকি ডাক্তারদের নীতি ঠিক না থাকলেও তারা সবাই হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী চলার চেষ্টা করেন। তবে আলোচিত উক্ত ৩ জন ডাক্তার সুস্থ্য মনমানসিকতা নিয়ে ডিউটি চলাকালীন সময়ে কোন রোগীর চিকিৎসা করেছেন কি না তাতেও সন্দেহ রয়েছে। যে কারনেই সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই এমন রাঘব বোয়ালদের ফাদে পরে তাদের সর্বস্য হারাচ্ছে।
এছাড়াও ডিউটি চলাকালীন সময়ে কর্তব্যরত সকল ঝারুদার থেকে শুরু করে ডাক্তারদের মাঝেও শুধুমাত্র কয়েকজন নার্স ব্যতীত অন্যান্যদের হাসপাতালের ইউনিফর্ম পরিহত অবস্থায় লক্ষ্য করা যায় না। এছাড়াও উক্ত ডাক্তারগণ রোগীদের প্রেশক্রিপশনে শুধু শুধু লিখে দেয় অনর্থক টেস্ট, পাশাপাশি বলে দেয় নির্দিষ্ট প্যাথলজির নাম যার ফলে সেখান থেকেও আসছে তার কন্টাক্ট করা পারসেন্টিস। ঘুষ না দিলে রোগীকে রোগীর ছিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও রয়েছে যার বদলে রোগীর বেডে প্রায়ই কুকুর শুয়ে থাকতে দেখা যায়। যেখানে থাকার কথা অসুস্থ্য রোগী সেইখানে স্থান পেয়েছে কুকুর। বাহ! কি মনোরম দৃশ্য, একেই বলে নকলা হাসপাতাল , বিষয়টি হাস্যকর মনে হলেও সত্যিই তাই লক্ষ্য করা যায় নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এমনটিই পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রতিনিয়তই সকলের মাঝে তীব্র সমালোচনা বিরাজ করে। সাধারন রোগীসহ সর্বস্তরের জনগণ এরুপ কষ্টকর অমানবিক বিষয়ের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend