শেরপুরের ঈদ বাজার ভারতীয় পণ্যে সয়লাব ৥ মার খাচ্ছে বাংলাদেশী পণ্য

eid-bazarঅবশেষে জমে উঠেছে শেরপুরে ঈদের বাজার। বিশেষ করে গত দুদিন ধরে পুরোপুরি কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। সেই সুযোগে মুনাফার মাত্রা বাড়িয়ে ইচ্ছে মতো দাম হাকছে দোকানীরা। আর অধিক মুনাফার লোভে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী বিশেষ করে কাপড়ের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে অবাধে ভারতীয় কাপড়। পাখি জামা, বাহা জামা নামে বাহাড়ী কাপড়ের দামও হাকছে বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো। বিশেষ চোরাপথে ভারত থেকে আসা এসব কাপড়ের প্রকৃত বাজার মূল্য এদেশের মানুষের না জানা থাকার কারণেই নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম হাকাচ্ছেন মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী।
কিছু কিছু দোকানে মেয়েদের কোন বাংলাদেশী কাপড় পাওয়া যাচ্ছে না। এসব দোকানে গেলে গর্বভরে দোকানীরা বলছেন আমরা বাংলাদেশী মাল রাখি না। ভারতীয় স্টার জলসা, স্টার প্লাসের বদৌলতে জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর নামে ভারতীয় এই কাপড়ের প্রতি বেশী ঝুকছেন মহিলা ক্রেতারা।
এমনি একটি দোকানে পাখি নামে একটি মেয়েদের একটি থ্রি পিসের দাম হাকা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। একই ধরণের সেটের দামই আবার পাশের দোকানেই কমে দাড়িয়েছে ৪ হাজার টাকায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় এক কাপড় ব্যবসায়ী জানায় ভারত থেকে আসা এসব থ্রি পিসের আসলে দামের কোন ঠিক নেই। চোরাপথে আসা কাপড়ের ক্রয় মূল্য বিশেষ কিছু ব্যবসায়ী না জানায় অবস্থা এ রকম হচ্ছে।
কসমেটিক্স সামগ্রীর ক্ষেতেও এ ব্যাপার ভারতীয় কসেমেটিক্স এর আধিপত্য চোখে পড়ছে। আর এসব কসমেটিক্স বৈধ পথে না এসে আসছে চোরাই পথে। জুতার বাজারেও ঢুকে পড়েছে ভারতীয় জুতা। সব মিলিয়ে এবার ঈদের বাজারে শেরপুরে বাংলাদেশী পণ্যকে পিছু হঠিয়ে জায়গা করে নিয়েছে চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য সামগ্রী।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend