শেরপুরে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিকল

erদেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক জটিলতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ে শেরপুরের গ্রাহকরা। গতকাল বুধবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ জেলায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক একেবারেই অকার্যকর ছিল। ফলে গ্রামীণফোনের সেবা গ্রহণকারী প্রায় ১২ লাখ গ্রাহক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। আর এ কারণে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকালে হঠাৎ করেই জেলা সদরসহ নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নকলা উপজেলার গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিকল হওয়ার পর পরই লাখ লাখ গ্রাহক বিচলিত হয়ে পড়েন। এর ফলে ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, গৃহিণীসহ সাংবাদিকমহল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
কলেজ শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন জানান, আমি শুধু গ্রামীণফোনের সেবাই নিয়ে থাকি। বুধবার নালিতাবাড়ীতে আমার নানা মারা গেছেন। তাই বিকালে বাসায় প্রাইভেট পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বারণ করার জন্য ফোন হাতে নিয়ে দেখি নেটওয়ার্ক ফেইলুর। আমাকে চলে যেতে হচ্ছে, দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কষ্ট ভোগ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ব্যবসায়ী রুমানুল হক জানান, গ্রামীণফোনের ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক না থাকায় আমার ব্যাপক ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিদিন ব্যাংক লেনদেনের কাগজপত্র আমাকে স্ক্যান করে ই-মেইল করে ঢাকা অফিসে পাঠাতে হয়। বিকাল থেকে নেট না থাকার কারণে পরবর্তী সময়ে এ ধকল সামলাতে কাজের চাপ বৃদ্ধি ও লোকবল নিয়ে আমাকে সমস্যায় পড়তে হবে।
অপরদিকে, শেরপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদকর্মীদের পড়তে হয়েছে মহা বিড়ন্বনায়। সাধারণত সংবাদকর্মীরা দিনের শেষে ঢাকা অফিসে খবরগুলো মেইল করেন বিকাল বেলায়। তাই সময়মত খবর পাঠাতে না পেরে শেরপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রফিক মজিদ তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে অপারেটর পরিবর্তন করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গ্রামীণ ফোনের শেরপুর ও জামালপুরের দায়িত্বে থাকা জেলা ডিস্ট্রিবিউটর (সেলস) মো. হাবিব জানান, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি আসলে কি হয়েছিল। এ দায়িত্ব আমার না। তিনি গ্রামীণফোনের কর্পোরেট এফেয়ার্স ঢাকাতে যোগাযোগ করতে বলেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend