শীতে জুবুথুবু পুরো শেরপুর জেলা

imagesশেরপুরে শীত জেকে বসেছে। গত ৩ দিন থেকে প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহ চলছে। শৈত্য প্রবাহ এবং সেই সাথে হীমশীতল ঠান্ডা বাতাসে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপ মাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। ঘন কুয়াশার কারনে ৩/৪ দিন থেকে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না।

সারারাত বৃষ্টির মতো টপটপ কুয়াশা পড়তে থাকে। ঘন কুয়াশার করনে শেরপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া দুরপাল্লার যানবাহনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের ৩/৪ ঘন্টা দেরিতে গন্তব্যস্থালে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। এছাড়া শেরপুরের অভ্যন্তরীন রুটের বাস, সিএনজি, লেগুনা সহ অন্যান্য যানবাহনগুলোর চলাচলও ঘন কুয়াশার কারনে বিঘ্নিত হচ্ছে। যার কারনে দিনের আলোতেই গাড়ীর হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

নিম্ন আয়ের মানুষ জন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে কৃষি কাজে নিয়োজিত দিন মজুর শ্রমিকরা পড়েছে মহাবিপদে। তারা খোলা আকাশের নিচে ক্ষেত খামারে কাজ করতে গিয়ে হীমশীম খাচ্ছে। প্রচন্ড শীতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।

panchagar_cold_winter_1-350x185প্রচন্ড ঠান্ডায় শীত জনিত রোগ আমশায়, ডাইরিয়া, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই অসুস্থ পড়েছে তবে এখন পর্যন্ত কারোর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

শেরপুর সদর উপজেলা সহ নালিতাবাড়ী, নকলা,ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী এর সকল জায়গায় শীতের প্রকোপে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

অপরদিকে প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহের কারনে আলুর ক্ষেত ও বীজ তলায় ছত্রাক রোগ দেখা দিয়েছে বলে শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসার অফিস সূত্রে বলা হয়েছে। ২/৩ দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা কমে না গেলে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে চাষ করা ধানের ও অন্যান্যের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দু একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে শীতবস্ত্র বিতরন করা হলেও সরকার থেকে বিতরনের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তাই অতি স্বত্বর সরকারীভাবে শীতবস্ত্র বরাদ্দ করার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করা হচ্ছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend