গর্ভপাত ঘটানোর পর রোগীনীর মৃত্যুতে তোলপাড়

downloadনিজ বাসায় অবৈধ ভাবে গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে রোগীনীর মৃত্যু ঘটেছে এমনি অভিযোগ উঠেছে শেরপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স চম্পা বেগমের বিরুদ্ধে।

গত ১০ মার্চ জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সরদারপাড়া এলাকার জনৈক মকবুলের স্ত্রী দিলারা বেগমকে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিজনরা। কিন্তু রোগীনীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে সিনিয়র স্টাফ নার্স চম্পার বাসায় নিয়ে যায় রোগীর সাথে আসা লোকজন। সেখানে ৩ সন্তানের জননী ৬ মাসের গর্ভবতী দিলারা বেগমের গর্ভপাত ঘটান সিনিয়র নার্স চম্পা বেগম।

গর্ভপাত ঘটানোর পর রোগীনীকে বাড়ীতে নিয়ে যায় স্বজনরা। কিন্তু বাড়ীতে নেয়ার পর রোগীনীর অবস্থার অবনতি হলে গত ১৪ মার্চ শনিবার শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে রোববার সকালে শেরপুর সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীনীকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু সকালে না নিয়ে বিকালে রোগীর আত্মীয় স্বজনরা রোগীনীকে ময়মনসিংহ কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে মারা যান দিলারা।

রোগীনীর মৃত্যুর জন্য সিনিয়র স্টাফ নার্স চম্পা বেগমকে দায়ী করে রোববার রাতেই শেরপুর সদর হাসপাতালে লাশ নিয়ে এসে তার শাস্তি দাবী করে মৃতের স্বজনরা। স্বজনদের দাবী রোগীনীকে ফুসলিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন উক্ত স্টাফ নার্স।

তবে হাসপাতালে ভর্তি না করে একজন স্টাফ নার্সের কথায় তার বাসায় রোগীকে কেন নেয়া হলো এ ব্যাপারে রোগীর এক স্বজনকে প্রশ্ন করা হলে তার জবাবে নিশ্চুপ ছিলেন তিনি।

এদিকে সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, ১৪ মার্চ শনিবার দিলারা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসার কোন ত্রুটি হয়নি। বরং দরিদ্র রোগী দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যতটুকু সম্ভব তাদের সহায়তা করেছেন। তবে হাসপাতালের কোন স্টাফ নার্স যদি অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর কাজ করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এ ব্যপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স চম্পা বেগমকে তার কর্মস্থলে বা বাসায় পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend