হাজারও নারীর প্রতিনিধি হয়ে যা বললেন দীপিকা!

VogueEven_0‘ভোগ’ পত্রিকার তরফে উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ক্যাম্পেইনের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি ভিডিও। আর এটি পরিচালনা করেছেন হোমি আদজানিয়া। ‘মাই চয়েস’ নামে এই ভিডিও স্রেফ নারীদের দুর্দশা-অবহেলার ছবি নয়। বরং খুব সোজাসাপ্টা কথায় নারীরা জানিয়েছেন তাঁদের অবস্থান। আর তাঁদের সকলের মনের কথা নিজের কণ্ঠে তুললেন বলিউডের মেধাবী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।

‘আমার শরীর, আমার মন আমার পছন্দের। আমার শরীর সাইজ জিরো হবে নাকি সাইজ ফিফটি সেটা আমার ইচ্ছা। বিয়ের আগে নাকি বিয়ের পরে সঙ্গম করব, নাকি করবই না, আমার ইচ্ছা। পুরুষকে ভালোবাসব নাকি নারীকে, কিংবা দু’জনকেই আমার পছন্দ’। প্রায় ৯৯ জন নারী ক্যামেরার সামনে শরীরি অভিব্যক্তিতে এভাবেই জানিয়ে গেলেন তাঁদের কথা। পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন ঠিকই, তবে তা পুরুষকে দোষারোপ করে নয়। বরং জানিয়েছেন তাঁদের ইচ্ছে এবং স্বাধীনতার কথা। জানিয়েছেন পুরুষচালিত সমাজের বেঁধে দেওয়া বেড়ার মধ্যে তাঁরা আবদ্ধ থাকবেন না।

তাই তাঁদের মুখে শোনা গেল, ‘ আমি কখন বাড়ি ফিরব সেটা আমার ইচ্ছা। আমি ভোর চার টায় বাড়ি ফিরব কি না আমার পছন্দ। আমি সন্ধ্যা আট টায় বাড়ি ফিরলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি তোমার সন্তান ধারণ করব কি না আমার ইচ্ছে।’ সমান অধিকার ও স্বাধীনতার বলিষ্ঠ ভাষ্যে তাঁরা স্পষ্ট জানান, ‘তোমাদের মন খাঁচায় বন্দি হয়ে আছে,তাকে মুক্ত করো। আমাদের শরীর কিছুতে বন্দি নয়, তা যেমন আছে তা থাকতে দাও।’

নানা ক্ষেত্রের নারীরা অংশগ্রহণ করলেন এই শর্ট ফিল্মে। দীপিকা ছাড়াও এ ভিডিওতে আছেন নিমরত কউর, ফিল্ম ক্রিটিক অনুপমা চোপড়া, ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ অনিতা শ্রফ আদজানিয়া প্রমুখ। ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’ ছবির পরিচালক হোমি আদজানিয়ার পরিচালনায় এ শর্ট ফিল্মে সমাজের সব স্তরের নারীদের সামাজিক গোঁড়ামি থেকে মুক্তির প্রয়াসের কথা উঠে এসেছে। এই ৯৯ জন নারী যেন হয়ে উঠেছেন গোটা দেশের সব মেয়েদের প্রতিনিধি, মুখপাত্র।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com