‘উইড়া যায় বক পঙ্খি পইড়া থাকে মায়া’ ঝিনাইগাতীতে বক আর চোখে পড়ে না

 

ডেস্ক রিপোর্ট

 

‘উইড়া যায় বক পঙ্খি পইড়া থাকে মায়া’ কবির লেখা এই বক পঙ্খি এক সময় ঝিনাইগাতীতে চোখে পড়তো অহরহ। বক শিকারীরা ভীড় জমাতো ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু এখন সেই বক পঙ্খির দেখা মেলা ভার।11
ঝিনাইগাতীর পাহাড়ী অঞ্চলের বিভিন্ন জলাভূমিতে আগে দেখা মিলতো বকের। বক শিকারীরা বক শি

কার করে হাট বাজারে বিক্রি করতো। মৌসুমের বকের মাংসের দাওয়াত পেতো ঝিনাইগাতীর বাইরে থাকা লোকজন। অনেক মানুষই তখন বক শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো।
সরকার অতিথি পাখি নিধন শাস্তিযোগ্য করার পর বক শিকার প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এ উপজেলায়। কিন্তু তারপরেও ক্রমাগত কমতে থাকে বকের সংখ্যা। বকের জন্য ঝিনাইগাতীর কাইয়ামারা বিল ছিল বিখ্যাত। এখানে মৌসুমের সময় আসতো প্রচুর পরিমানে বক। দূর থেকে বিল জুড়ে দেখা যেতো সাদা বকের সমারোহ। শুধু সাদা বকই নয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখিও আসতো এ বিলে। সাদা বক ছাড়াও অন্য প্রজাতির বকও দেখা যেতো।
উৎসাহের বসে এই প্রতিবেদক সহ তিন সাংবাদিক মোটরসাইকেল সহযোগে ঝিনাইগাতীতে বকের সন্ধানে বের হয়। বকের জন্য বিখ্যাত দলি বিল, গজারমারী বিল, বগাডুবি, মহারশী নদী ঘুরে কোথায় পাওয়া গেল না কাংখিত বকের সন্ধান। এলা

কার লোকজন জানালো এসব জায়গায় আগে প্রচুর পরিমানে বকের দেখা মিলতো কিন্তু এখন কালেভদ্রে দেখা পাওয়া যায় বকের।
তবে কিছু লোক জানালো কাইয়ামারা বিলে দেখা মিলতে পারে প্রার্থিত বকের। আর কি ছোটা হলো কাইয়ামারা বিলের দিকে। এখানে গিয়ে প্রথমে আশাহত। তবে কিছু পরে মিললো কাংখিত বকের সন্ধান। তাও মাত্র দুটো। তাই কি ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ এই গুরুতত্ব মাথায় রেখে উৎসাহে ক্যামেরার ফ্রেম বন্দী করা হলো মহার্ঘ্য সেই দুটি বক পঙ্খিকেই।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেল, এই বিলে একসময় বকের প্রাচুর্য্যে পুরো বিলটিই সাদা হয়ে যেতো। কিন্তু বর্তমানে বকের খাদ্য মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এ বিলে বক আর খুব একটা আসছে না।
পরিবেশবিদদের সাথে কথা বলেও এর সত্যতা পাওয়া গেলো। তারা জানালেন মূলত বকের খাদ্য মাছ কমে যাওয়ায় এখন আর এসব অতিথি পাখিরা এদিকে আসছে না। খাবার সন্ধানে তারা অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend