নালিতাবাড়ীতে দপ্তরী নিয়োগে ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ
মো:মঞ্জুরুল আহসান/ খোরশেদ আলম:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার পশ্চিম কলসপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন দপ্তরী নিয়োগে ৩ সদস্যের নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দুর্নীতি অনিয়ম ও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গত ১ মার্চ সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থী মোজাফ্ফর আলীকে চূড়ান্ত করেছেন। নিয়োগ বোর্েেডর সদস্যরা সু-কৌশলে ২ প্রার্থীর কাছ থেকেই মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। সাক্ষাৎকারে মোজাফ্ফর প্রথম স্থান অধিকার করলে তাদের নিয়োগ বানিজ্য ফাস হয়ে যায়। পরে তারা সভাপতির মাধ্যমে অপর প্রার্থী মোতালেবের টাকা ফেরৎ দেন। এ অবস্থায় নিয়োগে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রার্থীরাও প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে প্রতিবাদ করে। এতেও কোন সুরাহা না হলে এলাকাবাসী কৃষিমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ প্রেরন করে।
গত ২ এপ্রিল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই নিয়োগটি নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে। বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে এর সঠিক সমাধান কামনা করেছেন।
প্রধান শিক্ষক জাকিযা পারভিন বলেন, আমি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালন করে আসছি। কেউ আমার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির কথা বলতে পারবে না। সরকারী বিধিমতো নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। একজন দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে মোট ১৫ জন প্রার্থী আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে ৩ জন প্রার্থী বাতিল হয়। গত ১ মার্চ ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোজাফ্ফর (১ম), মোতালেব(২য়) এবং লাভলু তৃতীয় স্থান অধিকার করে। ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ স¤পূর্ণ মিথ্যা।
প্রার্থী বিল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুস সাত্তার এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রধান শিক্ষক ইন্টারভিউয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার,অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রার্থীকে শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধি আখ্যায়িত করে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মোটা অংকের টাকা নিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে চূড়ান্ত করেছেন।
সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, স্বচ্ছ ইন্টারভিউ হয়েছে। নিয়োগের কাগজটিতে আমি পরের দিন স্বাক্ষর করেছি।