সাতক্ষীরায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পুলিশের গুলি
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক শিবির কর্মীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, পাল্টাপাল্টি গুলিতে আহত হয়েছে সে। গুলিবিদ্ধ ওই তরুণের দাবি, সে রাজনীতিতে সক্রিয় নেই। বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাকে গুলি করেছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ তরুণের নাম মিলন বাবু সোহাগ (১৯)। সাতক্ষীরার সখিপুর খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা শাহাদাত হোসেন। তাদের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার ধোপাডাঙ্গামোড় এলাকায়।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিলনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী সগির আহদের ভাষ্য, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর স্কুল মাঠে কয়েকজন শিবির কর্মী গোপন বৈঠক করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৫/৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তিন রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে শিবির কর্মী মিলন বাবু সোহাগ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পরে তাকে আটক করে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা রায়হান হত্যা মামলাসহ একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে, তার পরিবারের লোকজনের দাবি, মিলন বাবু সোহাগকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ মিলনের দাবি, তিনি শিবিরের একজন কর্মী ছিলেন। ২০১৩ সালের মার্চে সড়ক অবরোধের অভিযোগে তাকে প্রেফতার করে পুলিশ। তিন মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি আর রাজনীতিতে সক্রিয় নেই। বর্তমানে তার এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। তিনটি পরীক্ষা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে পড়ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন রাত থেকে গতকাল সারাদিন তাকে দেবহাটা থানায় আটকে রাখা হয়। গতকাল রাতে অভিযানের নামে তাকে থানা থেকে নিয়ে বের হয় পুলিশ। সখিপুর খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের পাশে নিয়ে তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে পুলিশ গুলি করে