ব্রিটিশ সংসদে প্রবীণদের লালসার শিকার নবীন এমপিরা
ব্রিটিশ সংসদের নিম্ন কক্ষ ‘হাউস অব কমন্স’ এর হাল শোচনীয়। সেখানে নবাগত সংসদ সদস্যদের নাকি হতে হচ্ছে প্রবীণ সাংসদদের লালসার শিকার। মাতাল ওইসব প্রবীণ সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ লেগেই রয়েছে প্রত্যহ। সম্প্রতি প্রথম সারির ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ফোর এর অনুসন্ধানি রিপোর্ট ‘দ্য প্যালেস অব সেক্স মিনিস্টার’ এ উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর এই তথ্য।
জানা গেছে, হাউজ অব কমন্সের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সংসদের স্পিকার জন বার্কোকে চালু করতে হয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর। যেখানে গোপনে অভিযোগ জানানো যাবে এমপিদের বিরুদ্ধে।
ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেলটির ওই অনুসন্ধানি রিপোর্ট নিয়ে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে ব্রিটিশ রাজনীতি। ‘দ্য প্যালেস অব সেক্স মিনিস্টার’ নামের এই রিপোর্টে দাবি করা হয়, যৌন নির্যাতন চালানোর সঙ্গে নারী ও পুরুষ উভয় ব্রিটিশ এমপিরাই সমানভাবে জড়িত। এমন অপকর্মে লিপ্ত এমপিরা বলে থাকেন, তাদের লালসা চরিতার্থের সুযোগ দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য ভবিষ্যতে বিপুল সম্ভাবনার পথ খুলে যাবে।
চ্যানেলটির দাবি, হাউস অব কমন্সে এমপিদের হাতে নারীদের চেয়ে তরুণদের যৌন হেনস্থা ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরিসংখ্যান বেশি। হাউস অব কমন্সে কর্মরত ব্যক্তিদের এক চতুর্থাংশই বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৪০ শতাংশ নবীন সাংসদই দাবি করেছেন, তারা অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে যৌন হেনস্থার শিকার হাউজ অব কমন্সের এক কর্মচারি বলেন, ‘সম্প্রতি এক সংসদ সদস্য আমাকে তার সঙ্গে দুপুর ১টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে নাকি আমি অনেক লাভবান হতে পারবো। কিন্তু দুপুর ৩টার দিকে দেখলাম ওই সাংদ একজন পুরুষ সমকামীকে নিয়ে তার হোটেল রুমে ফিরে যাচ্ছেন।’
রিপোর্টে এক নারী বলেন, ‘আমি দেখেছি ওখানে পুরুষরা পুরুষদের কাছে যাচ্ছে এবং তাদের ভাড়া করছে বিছানায় যাওয়ার জন্য। আমি দেখেছি পুরুষ এমপিদের সঙ্গে হাউজের অনেক গবেষকের সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে অপেক্ষাকৃত প্রবীণ সাংসদরা তাদের লালসা মেটাতে নবীনদের খুঁজে বের করতো।’
চ্যানেল ফোর এর এই রিপোর্ট এমন এক সময়ে প্রকাশ হলো যখন ঠিক তার কিছুদিন আগেই হাউজ অব কমন্সের সমকামী ডেপুটি স্পিকার নাইজেল ইভান্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।