আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন : খালেদা জিয়া
রাজনৈতিক প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন তাই ক্ষমতা ছাড়তে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। এছাড়া খুব শিগগিরই ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ঢাকা মহানগর শ্রমিক দলের ষষ্ঠ সম্মেলন ও কাউন্সিল ২০১৪-এর উদ্বোধন করলেন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন তাই ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। প্রশাসনকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে তারা। কোনো গণতান্ত্রিক সরকার এসব কাজ করতে পারে না।
সরকারের নানা ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, অবস্থার পরিবর্তনে বিভিন্ন সংগঠনকে জোরদার করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। সরকারের নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেও সংগ্রাম করতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। নইলে দেশ বাঁচানো যাবে না, কোনো প্রতিষ্ঠান বাঁচানো যাবে না।
শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকের প্রয়োজন কলকারখানা। কিন্তু প্রতিনিয়ত শিল্প কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে। শ্রমিকেরা বেকার হচ্ছে। দেশি-বিদেশি কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। অবৈধ সরকারের আমলে কেউ বিনিয়োগ করতে চায় না।
ব্যবসায়ী খুন হচ্ছেন—এমন মন্তব্য করে সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর তিন মাসে নতুন কোনো শিল্প-কলকারখানা করতে পারেনি। বরং বিএনপির আমলে স্থাপন করা অনেক কলকারখানা বন্ধ করা হয়েছে। বেকারত্ব থাকলে সমাজে অপরাধ বাড়ে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বর্তমান সরকার একইসঙ্গে মিথ্যা কথা বলে এবং চুরি করে বলে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন। নতুন কলকারখানা না হওয়ার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে ব্যাপক সমালোচনা করেন তিনি।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার গ্যাস-বিদ্যুৎ দিতে পারে না। অথচ বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এতে উত্পাদন খরচ বেড়ে যায়। সামাল দিতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের মানুষ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে মেনে নেয়নি। পার্লামেন্ট বহাল রেখে করা এই নির্বাচন জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। সেই প্রতারণাই করেছে শেখ হাসিনা।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা করে তাদেরকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মী এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।