সহিংসতা ও অনিয়ম কমাতে উপজেলা পরিষদ আইনে সংশোধনী আসছে
প্রথমবারের মতো চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দফায় দফায় ভোট গ্রহণের ফলে সহিংসতার মাত্রা বাড়ার কারণে নির্বাচনী সহিংসতা ও অনিয়ম কমাতে উপজেলা পরিষদ আইনে সংশোধনী আনবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে শিগগিরই কমিশনের বৈঠকে আলোচনার পর নাগরিক সমাজ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন একাধিক নির্বাচন কমিশনার।
২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ একই দিনে অনুষ্ঠিত হলেও এবার তা আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ভিন্ন ভিন্ন দিনে করতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। প্রথম দুই ধাপে কিছুটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে নির্বাচনী অনিয়ম-সহিংসতা বেড়েছে অনেক।
ধাপে ধাপে নির্বাচন করাই ছিল কমিশনের ভুল সিদ্ধান্ত স্বীকার করে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, আমরা যদি সব ভোট গ্রহণ শেষে একসঙ্গে ভোটের ফল প্রকাশ করতে পারতাম, তাহলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা হয়তো আরও কিছুটা কম হতো। তবে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নির্বাচন করতে হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে এমপিদের মতো গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ নেওয়ার ব্যবস্থা রাখার কথা চিন্তা করছে কমিশন। আমেরিকায় সফররত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ১৪ এপ্রিল দেশে ফিরলে পূর্ণাঙ্গ কমিশন এ বিষয়ে বৈঠকে বসবে।
সূত্র: দৈনিক সমকাল