আগের আইপিএলের স্পট ফিক্সিংয়ের সর্বশেষ অবস্থা…
খেলাধুলা ডেক্স:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টি২০ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন দেশে ঘরোয়াভাবে এ ভার্সনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের ধুম পড়ে গেছে। যেমন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল), ভারতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল), অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ টি২০ লীগ, শ্রীলংকা প্রিমিয়ার লীগ (এসএলপিএল), দক্ষিণ আফ্রিকায় রাম স্লাম টি২০ লীগ, ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) অন্যতম। টি২০ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ফিক্সিং হয় বলে প্রথম থেকেই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্ষিপ্ত এ ভার্সনে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে বিপিএল নিয়ে। তবে সেটা নিয়ে বিশ্বে খুব বেশি শোরগোল না উঠলেও আইপিএলের স্পট ফিক্সিং কেলেংকারি পুরো বিশ্বে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।
ক্রিকেট বিশে^র সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ভারতে এ কেলেংকারি প্রথম ধরা পড়ে ২০১৩ সালের ষষ্ঠ আসরে। এ কেলেংকারিতে ভারতীয় ক্রিকেট টালমাতাল হয়ে পড়ে। এমনকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির পদ সাময়িকভাবে ছেড়ে দিতে হয় এন শ্রীনিবাসনকে। শেষ পর্যন্ত সুনিল গাভাস্কারকে সাময়িক দায়িত্ব দেয়ার সুপারিশ করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক এ ক্রিকেটার। আগামী ১৬ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাওয়া ৭ম আইপিএলের আগে টুর্নামেন্টটির স্পট ফিক্সিংয়ের টাইমলাইনের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক-
২০১৩ সালের ১৬ মে তারিখে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে রাজস্থান রয়্যালসের ৩ খেলোয়াড়কে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ২৩ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্রীনিবাসনের জামাতা গুরুনাথ মিয়াপ্পন সমন জারি করা হয়। ২৪ মে মিয়াপ্পনকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে। ২৫ মে চেন্নাই সুপার কিংস দলের গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তি হিসাবে মিয়াপ্পনকে অস্বীকার করে ইন্ডিয়া সিমেন্ট ২৬ মে ফিক্সিং তদন্তে বিসিসিআই কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্যের কমিটি মিয়াপ্পনকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
২ জুন শ্রীনিবাসনের পদত্যাগ, বিসিসিআইর অন্তর্র্বতীকালীন প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পান জগমোহন ডালমিয়া। ২১ জুন আইপিএলের আন্ত:তদন্ত কমিটি গঠনের বিপক্ষে বোম্বে হাইকোর্টে রিট করে বিহার ক্রিকেট এসোসিয়েশন। ২৮ জুলাই দুজন বিচারপতির সমন্বয়ে বিসিসিআইর তদন্ত কমিটি চেন্নাই কিংসের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ খুঁজে পায়নি। ৩০ জুলাইবিসিসিআই কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে নতুন করে তদন্তের আদেশ দেয় বোম্বে হাইকোর্ট।
৫ আগস্ট বোম্বে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপীল করে বিসিসিআই। ৭ আগস্ট বোম্বে কাইকোর্টের আদেশের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিতে অস্বকৃতি জানায় সুপ্রিম কোর্ট ২১ সেপ্টেম্বর মিয়াপ্পনের বিরুদ্ধে চিটিং এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর শ্রীনিবাসন পুনরায় বিসিসিআই’র সভাপতি নির্বাচিত হন। ৮ অক্টোবর হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি মুকুল মুডগালকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট, পাশাপাশি বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে শ্রীনিবাসনকে মেনে নেয়।
২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মিয়াপ্পনের বিপক্ষে রিপোর্ট দেয় মুডগাল কমিটি। ২৫ মার্চ দুই দিনের মধ্যে শ্রীনিবাসনকে সরে দাঁড়ানোর সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ২৭ মার্চ সাবেক ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কারকে বিসিসিআইর অন্তর্র্বতীকালীন সভাপতি এবং আইপিএল পরিচালনার দায়িত্ব দিতে সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্ট।