ক্রিকেট জুয়া অতনু আবার গ্রেপ্তার
খেলাধুলা ডেক্স:
ক্রিকেট জুয়াড়ি ভারতীয় নাগরিক অতনু দত্তকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর এলাকার একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় অতনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের সময় হোটেলে অতনুর স্ত্রীও ছিলেন। বৈধ কাগজপত্র থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময় ৩ এপ্রিল অতনুকে বেনাপোল থেকে আটকের পর মিরপুর থানায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় ৬ এপ্রিল তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাঁকে জামিন দেন। এর পর থেকে তিনি গা ঢাকা দেন। পুলিশ তাঁর পাসপোর্টটি আগেই জব্দ করেছে। গতকাল দুপুরে মিরপুর থানায় গেলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা অতনুর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, অতনুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর জবানবন্দির ভিত্তিতে নতুনভাবে মামলাটি তদন্ত করা হবে। অতনুর স্বীকারোক্তিতে ধরমবীর সিং যাদবের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তাঁকেও আইনের আওতায় আনা হবে। যাদব হলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিটের অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক।
অভিযোগ আছে, অতনুর সঙ্গে আকসু কর্মকর্তা যাদবের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাঁদের দুজনের কথোপকথনের তথ্যও পেয়েছে র্যাব। অতনু প্রথম ৩ এপ্রিল বেনাপোল থেকে আটক হন।
র্যাব জানায়, ২১ মার্চ ভারত-পাকিস্তান খেলার সময় সন্দেহবশত র্যাবের গোয়েন্দারা অতনুকে মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। তখন ধরমবীর সিং যাদব তাঁর পক্ষে কথা বলেন। যাদবের দাবি ছিল, অতনু ম্যাচ ফিক্সিং (পাতানো) বিষয়ে তাঁর একজন তথ্যদাতা। ওই সময় আকসুর প্রধান যোগীন্দ্র পল সিংও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে অতনু স্বীকার করেন, মাঠ থেকে যাবতীয় তথ্য তিনি কলকাতায় কুনাল দাগা নামের এক ব্যক্তির কাছে পাঠাতেন। কুনাল দাগা একজন ক্রিকেট জুয়াড়ি। এ জন্য যাবতীয় খরচ বাদে প্রতিদিন পাঁচ হাজার রুপি করে অতনুকে দিতেন কুনাল দাগা। সাত বছর ধরে এভাবে কুনালকে তথ্য দিয়ে আসছেন তিনি।
অতনুকে জিজ্ঞাসাবাদকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, অতনু জিজ্ঞাসাবাদে জানান, যাদবের সঙ্গে তিন বছর আগে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর সব খেলার সময় তিনি মাঠে থেকে সব তথ্য যাদব ও জুয়াড়ি কুনালতে দিতেন।
আদালত সূত্র জানায়, প্রথমে গ্রেপ্তারের পর এক ব্যক্তি অতনুর জামিনের ব্যবস্থা করেন। তিনি জামিনের জিম্মাদারও হয়েছেন। কিন্তু আদালতের নথিতে তিনি যে নাম লিখেছেন, তা অস্পস্ট।