আওয়ামী নেতাদের উক্তি যৌন বিকৃতির লক্ষণ
রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাদের ছেলে তারেক রহমান ও আরাফত রহমান কোকোকে নিয়ে আওয়ামী নেতা ও সরকারের মন্ত্রীরা যে সব উক্তি করছেন তাকে যৌন বিকৃতির লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ মন্তব্য করেন। আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিতব্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সরকারি দলের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘প্রতিদিন তারা যেসব কদর্য কথা বলছেন, তাতে আমার একজন মনোবিজ্ঞানীর উক্তি মনে পড়ে যায়। তিনি বলেছেন, ‘নারীদের প্রতি অশালীন উক্তি যৌন বিকৃতির লক্ষণ।’
তিনি বলেন, ‘তাদের উক্তি যৌন বিকৃতির শামিল। আমরা তাদের মতো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা রাজনৈতিক ভাষায় এর জবাব দিতে চাই।’
আগামীকাল ঠাকুরগাও সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওসহ যেসব নির্বাচন বাকি আছে সেগুলোর ভাগ্য কি হবে, তা আমরা পূর্বের নির্বাচন গুলোতে দেখিছি। এটা নতুন করে বলার কোন ভাষা বা বক্তব্য নেই।’
‘এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল ৩১ মার্চে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে স্থগিত করা হয়’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রেণোদিতভাবে ও হীনউদ্দেশ্যে নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য কেন্দ্রের সংখ্যা আরেকটি বাড়ানো হয়েছে। যা নিয়ম বহির্ভূত ও অবৈধ।’
‘এসব কেন্দ্রর মধ্যে ৭০ জন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে ফলাফল তা আমরা জানি। এ জন্য তারা কি করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা তাদের পক্ষে নেবে সেজন্য তারা ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল ও তাণ্ডবের প্রস্তুতি নিয়েছে।’
‘এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ১৯ দলীয় জোট প্রার্থী অভিযোগ জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন সরকারের অদ্ভুত দালালি করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রত্যক্ষভাবে সরকারি দলের অনুগত কর্মচারি ও শ্লোগান দেয়া কর্মীর মতো কথা বলেছে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কখনোই মিথ্যা বলেন না। তিনি সত্যকে নতুন করে ঢেলে সাজান। প্রধানমন্ত্রীর এসব কথার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলের আন্দোলন তৈরি না হয়ে যেন এসবের মধ্যেই থাকে। এই মিথ্যাচারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগনকে বিভ্রান্ত করা।’
সরকারকে হটাতে বৃহত্তর রাজনৈতিক গণআন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বরকতুল্লাহ বুলু, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাইদ খান খোকন, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ।