যুক্তরাষ্ট্রে মুহিত-ফখরুদ্দীনের একান্ত বৈঠক
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। যুক্তরাষ্ট্রে রাজধানী ওয়াশিংটনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, স্থানীয় সময় রবিবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসির সিটি সেন্টারে অবস্থিত ‘ওয়েস্টিন ওয়াশিংটন’ হোটেলে অর্থমন্ত্রীর স্যুইটে এ বৈঠক হয়।
আধা ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের সময় তাদের পাশে আর কেউ ছিলেন না। তিনি বলেন, বৈঠক শেষে ফখরুদ্দীন হাস্যোজ্জ্বল মুখে অর্থমন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। ঠিক তখনই মন্ত্রীর কক্ষে ঢোকেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। এছাড়া বৈঠক সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
কানাডা থেকে প্রকাশিত দ্য বেঙ্গলি টাইমস এ খবর দিয়েছে। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তার-নির্যাতনের ঘটনায় ফখরুদ্দীন আহমেদ ও সে সময়কার সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদকে বিচারের মুখোমুখি না করায় সরকারের মন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ রয়েছে। ২০০৭ সালের অগাস্টে ছাত্র বিক্ষোভের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান ছিলেন মেনন, যে কমিটি ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন দেয়। ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনের জন্য ফখরুদ্দীন ও মইন উ আহমেদসহ ছয়জনকে প্রচলিত আইনে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। ২০০৬ সালের শেষ ভাগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সারাদেশে যে সহিংসতা-হানাহানি ছড়িয়ে পড়ে, পরের বছর ১১ জানুয়ারি তার আপাত অবসান ঘটে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের জরুরি অবস্থা জারির মধ্যে দিয়ে। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেন তিনি। বাতিল করা হয় ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন।
এরপর সেনানিয়ন্ত্রণে গঠিত হয় নতুন ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’, যার প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ। এই সরকার নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে দুই বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন দেয়, আবার গণতন্ত্রে ফেরে দেশ।