নালিতাবাড়ীতে মরা খাল পানিতে টইটুম্বর: ৫শ’ একর অনাবাদী জমিতে বোরো আবাদ
মো: মঞ্জুরুল আহসান:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরা সুতিয়া খাল এখন পানিতে টইটুম্বর। শুস্ক মৌসুমে কৃষকদের সেচ সুবিধার কথা ভেবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সহযোগিতায় খালটিতে একটি স্লুইসগেট (জলকপাট) নির্মান করা হয়। ফলে অনেক অনাবাদী জমিও সেচের আওতায় এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে অনাবাদী এই জমিতে সেচ সুবিধা পেয়ে বোরো ধান চাষ করে খালের দু-পাড়ের কৃষকরা মহাখুশি। জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থ বছরে জাইকার অর্থায়নে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ফুলপুর বান্দের বাজার সংলগ্ন ভোগাই নদীর পাড়ে বিদ্যুত চালিত দুইটি শক্তিশালী মর্টার এবং খালের ৮ কিলোমিটার ভাটিতে একটি স্লুইস গেট নির্মান করা হয়। মর্টারের মাধ্যমে ভোগাই নদীর পানি সুতিয়া খালে নিয়ে মজুদ করা হয়। পরে খাল থেকে পানি এলএলপি পাম্পের সাহায্যে উঠিয়ে মাঠে সেচ দেওয়া হয়। এখান থেকে সেচ সুবিধা নিয়ে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১২শতাধিক কৃষক বোরো আবাদ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে,দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাবার বাধ কাম ব্রীজ ভোগাই নদীর পানি মজুদ হওয়ার ফলে প্রায় ৬ হাজার একর জমি সেচের আওতায় আসে। সেই মজুদ পানি শক্তিশালী মর্টার দিয়ে মাটির নিচ দিয়ে কালভার্ট বসিয়ে নালা তৈরি করে সুতিয়া খালে নেয়া হচ্ছে। খালের দু-পাড়ের সাতশ কৃষক নিয়ে গড়ে উঠেছে “স্লুইস গেট সুতিয়া খাল সমবায় সমিতি”। রামচন্দ্র কুড়া,কাকর কান্দি ও নালিতাবাড়ী এই তিনটি ইউনিয়নের ফুলপুর, গেদালুপাড়া, পলাশিয়া, হাতিবান্দা, খুজিকুড়া, চান্দের নন্নী, চিনামারা, কেরেঙ্গা পাড়া, কাউলারা ও বিন্নিবাড়ী গ্রামের কৃষকগন সেচের সুবিধা পাচ্ছে। সমিতির সভাপতি মো.রেজাউল করিম বলেন, এলাকার এমপি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর চেষ্টার ফলে স্বাধীনতার পর এই প্রথম অত্র এলাকার জনগন বোরো আবাদ করতে পারছে। এই সমিতির মাধ্যমে আগামীতে মজুদ পানিতে মাছ চাষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। কৃষকদের সুবিধার কথা ভেবে সেচ করও ধার্য করা হয়েছে উপজেলা সেচ কমিটির নির্ধারিত যা আছে তা-ই। প্রতিটি মেশিন মালিক সমিতিকে দিচ্ছে মাত্র এক হাজার টাকা। এতে সমিতি যে টাকা খরচ করেছে তা উঠাতে দীর্ঘদিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, নদীর পানি সুতিয়া খালে মজুদ করার মাধ্যমে ৫০০ একর বোর আবাদ সেচের আওতায় এসেছে, আগামী বছর এর পরিমান ৮০০ একর ছাড়িয়ে যাবে।