শ্রীবরদীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
শ্রীবরদী প্রতিনিধি:
শ্রীবরদীর ইন্দিলপুর গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে ১লা বৈশাখ থেকে প্রেমের স্বীকৃতি ও বিয়ের দাবিতে অনশন করছে শেরপুর সরকারি কলেজের বিএ অনার্সের শিক্ষার্থী আইরিন পারভীন আরজিনা (২১)। এ ঘটনায় প্রেমিক সেনা সদস্য ওয়াদুদ ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘর ছেড়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে শেরপুর পৌরসভার উপকন্ঠে মোবারকপুর মহল্লার বাসিন্দা জনৈক তৈয়ব আলীর ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ পার্শ্ববর্তী ইন্দিলপুর গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে শেরপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএ অনার্স শিক্ষার্থী আইরিন পারভীন আরিজিনাকে ৪/৫ মাস পূর্বে বিয়ে করতে তাদের বাড়ীতে দেখতে যায় এ সময আরজিনার সাথে ওই সেনা সদস্য আব্দুল ওয়াদুদের পরিচয় সূত্রে মনদেয়া নেযা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আব্দূল ওয়াদুদ ও আরজিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই ধারবাহিকতায় ১লা বৈশাখ সোমবার সকালে ওয়াদুদ মোবাইল ফোনে আরজিনাকে ডেকে আনে এব ং সারাদিন শহরের পৌরপার্ক সহ বিভিন্নস্থানে বৈশাখী অনুষ্ঠান উপভোগ করে।তার পর সন্ধ্যায় একটি অটো রিক্সায় দুজন মোবারকপুর এলাকায় গিয়ে প্রতারক সেনা সদস্য প্রেমিক আব্দুল ওয়াদুদ আরজিনাকে একাকি রেখে সটকে পড়ে এ সময় প্রতারিত প্রেমিকা আরজিনা নাছোড় বান্দা লোক লজ্জার চিন্তা না করে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতৈ অবস্থান নেয়। এদিকে সু-চতুর প্রেমিক আব্দুল ওয়াদুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে বাড়ীঘরে তালা বদ্ধকরে অন্যত্র পালিয়ে যায়। পরে আরজিনা প্রতিবেশি আত্বীয় মজনু মিয়ার বাড়ীতে আশ্রয় নেয় এবং ৩ দিন যাবত বিয়ের দাবীতে অনশন অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে ওই প্রেমিক তার প্রেমিকাকে রেখে পাশ্ববর্তী কাজির চর গ্রামে বিয়ে করে আনন্দ-ফুর্তিতে রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করেও কোন সুরাহা করতে পারেনি। অপরদিকে আরজিনার বাবা আজাহার আলী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা না পাওয়ায় পুলিশের ভুমিকা রহস্যজনক বলে এমনটাই অভিযোগ তার।