রাতে শোবার অবস্থানের উপর নির্ভর করে দাম্পত্য সুখ!
স্বাস্থ্য কথা ডেক্স:
শুনতে অবাক লাগছে? কিন্তু না, কথাটা আমরা বলছি না। বলছেন গবেষকরা। এই প্রথমবারের মত বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে দেখেছেন স্বামী ও স্ত্রীর ঘুমের সময় শোবার অবস্থানের উপর নির্ভর করে তাদের ব্যক্তিত্ব এবং দাম্পত্য সুখ। দাম্পত্য সুখ বাড়াতে চাইলে আসুন দেখে নেই গবেষকরা কী বলছেন!
ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ড শায়ারের সাইকোলজিষ্ট অধ্যাপক রিচার্ড ওয়াইসম্যানের তত্বাবধানে সংগঠিত এই গবেষণায় ১০০০ ব্যক্তি তাদের ঘুমের সময়ে পছন্দনীয় শোবার অবস্থান বর্ণনা করেছেন এবং সেই সকল বর্ননার ভিত্তিতে তাদের ব্যক্তিত্ব এবং দাম্পত্য সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য নিরূপন করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে ৪২% স্বামী-স্ত্রী একে অপরের দিকে পেছন ফিরে ঘুমান, ৩১% স্বামী-স্ত্রী একই দিকে মুখ করে ঘুমান এবং মাত্র ৪% স্বামী-স্ত্রী একে অপরের দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে থাকেন। তাছাড়া আরও দেখা গেছে ১২% স্বামী-স্ত্রী ঘুমায় এক ইঞ্চির কম দূরত্বে শুয়ে এবং ২% স্বামী-স্ত্রী ৩০ ইঞ্চির বেশি দূরত্বে শুয়ে ঘুমায়।
গবেষণায় স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে স্পর্শ করে ঘুমানোর বিষয়ে যে বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য ভাবে ধরা পড়েছে তা হলো একে অপরের সংস্পর্শে থেকে ঘুমায় এমন দম্পতির ৯৪% ই তাদের দাম্পত্য সম্পর্কে সুখী। অন্যদিকে যারা একে অপরের স্পর্শে না থেকে ঘুমায় তাদের মধ্যে ৬৮% মানুষ দাম্পত্য সম্পর্কে সুখী নয়।
আবার যারা একে অপরের হতে দূরত্ব বজায় রেখে ঘুমায় তাদের মধ্যে যারা সঙ্গীর থেকে এক ইঞ্চির কম দূরত্বে ঘুমায় তাদের ৮৬% দাম্পত্য জীবনে সুখী, অন্যদিকে যারা ৩০ ইঞ্চির বেশি দূরত্বে ঘুমায় তাদের মধ্যে মাত্র ৬৬% দাম্পত্য জীবনে সুখী।
এই মৌখিক জিজ্ঞাসামূলক গবেষণা কর্ম হতে প্রাপ্ত আরও চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে এক্সট্রোভার্ট বা বহির্মুখী ব্যক্তি তাদের সঙ্গীর কাছাকাছি রাত কাটায় , তাছাড়া অধিক ক্রিয়েটিভ বা সৃষ্টিশীল ব্যক্তিবর্গ তাদের সঙ্গীর বাম পাশে শুতে পছন্দ করে।