সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ করার প্রস্তাব জেলা প্রশাসকদের

Govt-logo-jpg_3খবর বাংলা২৪ ডেক্স:

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ থেকে ৩৩ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা নির্ধারিত রয়েছে ৩০ বছর। এছাড়াও স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২০ বছর করার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এই প্রস্তাবনার কথা জানা গেছে।আগামী ৮ জুলাই থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন। ইতিমধ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে সম্মেলনে আলোচনার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।ডিসি সম্মেলনকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলার ডিসিরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তার মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের এই সীমা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের ২৫ থেকে কমিয়ে ২০ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, আগামী ৮ জুলাই থেকে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলন উপলক্ষে আলোচনার বিষয়বস্তুর প্রস্তাবনা চেয়ে সকল জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ৪ মার্চ পাঠানো চিঠিতে ২৫ মার্চের মধ্যে সম্মেলনে উত্থাপনের জন্য প্রস্তাবনা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে বলা হয়েছিল।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মেজবা উদ্দিন বুধবার বলেন, সম্মেলনের আগে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। নওগাঁর জেলা প্রশাসক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবে বলেছেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারিখে ৩.২০১১ নং অধ্যাদেশ মোতাবেক Public servants (Retirement) Ordinance, 2011 অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়স ৩০ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৩২ থেকে ৩৩ বছর নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

তিনি আরো প্রস্তাব করেন, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত ও পারিবারিক কারণে অনেকের পক্ষেই ২৫ বছরের চাকরিজীবন অতিক্রান্ত করা সম্ভব হয় না। ফলে খোঁড়া অজুহাত প্রর্দশন পূর্বক মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে অক্ষমজনিত অবসর আবেদন করেন তারা। এক্ষেত্রে কর্মচারীদের মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন সংগ্রহ ও অন্যান্য শর্তাদি পূরণ করতে অনেক সময় অতিবাহিত হয়। তাই কর্মচারীদের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে গণ কর্মচারী (অবসর) আইন ১৯৭৪ এর ৯ (২) ধারা অনুযায়ী ২৫ বছর চাকরিজীবন পূর্তির পর স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ২০ করা প্রয়োজন। একই প্রস্তাব দিয়েছেন রংপুর, রাজশাহী, নওগাঁ,বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসকরা।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর আর অবসরের সীমা ৫৯ বছর। আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রতিবন্ধী কোটা ও বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সাধারণ প্রার্থী এবং কয়েকটি বিশেষ ক্যাডারের উপজাতীয় প্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর।চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের যুক্তি, সেশনজটের কারণে পড়ালেখা শেষ করতে ৩০ বছর শেষ হয়ে যায়।

সম্মেলনের প্রস্তাবনায় স্থানীয় সমস্যাগুলোও উপস্থাপন করা হয় জানিয়ে নওগাঁর ডিসি মো. এনামুল হক বলেন, জেলার সাপাহার- পোরশায় পানির সমস্যা লাঘব, কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন তৈরি এবং পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে।
(সূত্র: ফোকাস বাংলা)

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend