শরণখোলায় ভুমিহীন খাদিজা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেল

thaheraখবর বাংলা২৪ ডেক্স:

 অবশেষে মাথা গোঁজার ঠাঁই হল বাগেরহাটের শরণখোলার ভুমিহীন খাদিজার। অসহায় এই নারীকে পুনর্বাসনের জন্য গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদন দেখে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী আজ বুধবার দুপুরে খাদিজাকে দেখতে ছুঁটে যান শরণখোলা হাসপাতালে। সেখানে তিনি খাদিজার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন।
পরে জেলা প্রশাসক খাদিজাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। পরে খাদিজার দাবীর প্রেক্ষিতে পুনর্বাসনের জন্য উপজেলা সদরের বান্দাঘাটা এলাকায় একটি স্থায়ী জায়গা নির্ধারণ করেন এবং প্রাথমিকভাবে ঘর তোলার জন্য ডিসির পক্ষ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে আরো সহায়তা ও নির্ধারিত জায়গার স্থায়ী দলিল এবং এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রত্যাশী খাদিজার ছোট মেয়ে লিপি আক্তারকে চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
উপজেলা সদরের রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুলের খেলার মাঠ সংলগ্ন পানি উন্œয়ন বোর্ডের ৩১/১ পোল্ডারের বেড়িবাধের পাশে একটি ঝুঁপড়ি ঘর তুলে প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে বসবাস করতেন খাদিজা বেগম (৪০)। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্কেট নির্মানের জন্য ওই জায়গা থেকে পুনর্বাসন না করেই রাস্তার মাটিকাটা শ্রমিক ভূমিহীন খাদিজাকে ১৩ এপ্রিল (রবিবার) লাঠিপেটা করে উচ্ছেদ করেন। পরে খাদিজা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
বৈঠকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদিন আকন, ইউএনও কেএম মামুন উজ্জামান, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবুল সরদার, সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সাহা, সাউথখালী ইউপির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হোসেন, রায়েন্দা ইউপির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, খোন্তাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এমএ খালেক খানসহ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend