তথাকথিত নিরপেক্ষতার ভান করবেন না
খবর বাংলা২৪ ডেক্স:
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা নিরপেক্ষতার কথা বলেন। আমি আপনাদের বলবো আপনারা বস্তুনিষ্ঠ হন, তথ্য নির্ভর হন। তথাকথিত নিরপেক্ষতার ভান করবেন না। কারণ সবাইকেই কোনো একটি পক্ষ নিতেই হয়। আপনারা সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষেই থাকবেন।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ১৪০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে মুক্তিযুদ্ধের ওপর এক সেশনে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
১৮০ জন শিক্ষা ক্যাডার প্রশিক্ষনার্থী কর্মকর্তাদের এই সেশন ক্লাশে মন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র চলবে না। রাষ্ট্র চলবে মূল্যবোধ দিয়ে। অসাম্প্রদায়ীক মূল্যবোধ না থাকলে সাম্প্রদায়িকতাকে রোধ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘পরিচয় সঙ্কটের মধ্যে থেকে কোনো জাতি মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে না। গর্ব করে বলতে শিখতে হবে আমি বাঙালি। মানবসন্তান তিনটি পরিচয়ে বড় হয়। সর্বপ্রথম সে একজন মানুষ। তার মনুষ্যত্ব থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, সে একটি জাতিসত্বার মধ্যে বেড়ে ওঠে এবং তার তৃতীয় পরিচয়, সে একটি ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এমন একটি দর্শন প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ ছিল। কোনো দেশের সঙ্গে নয়।’
সেশন ক্লাশে উপস্থিত শিক্ষা ক্যাডারদের উদ্দেশে ইনু বলেন, ‘জীবনে কোনো কারণে যদি কথা দিয়ে না রাখতে পারেন তাহলে অজুহাত না দেখিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেবেন। নিজেকে বাঁচানোর জন্য সবার মধ্যে অজুহাত দেখানোর একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ইতিহাসকে ধামাচাপা দিয়ে আপনারা শেকড়বিহীন একটি প্রজাতি তৈরি করবেন না। শিক্ষকেরা হচ্ছেন মোমবাতির মতন। তারা নিজেদের আলো চারপাশে ছড়াতে ছড়াতে নিঃশেষ হয়ে যায়।’
মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শয়তান তার কৃতকর্মের জন্য কখনোও অনুতপ্ত হয় না। কেয়ামতের আগ পর্যন্ত শয়তান বদলায় না, মানুষকে ভুল পথে প্ররোচিত করতে থাকে। যারা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তারা আজ পর্যন্ত তাদের কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া বা কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়নি।’
উল্লেখ্য, শিক্ষা ক্যাডারদের এই সেশন ক্লাশে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির মহাপরিচালক খান হাবিবুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।