হাসিনাকে জাদুঘরে পাঠালে শান্তি আসবে
‘দারিদ্র্যতাকে জাদুঘরে পাঠাবো’ ড. ইউনূসের এ বক্তব্যের প্রশংসা এবং শেখ হাসিনাকে ‘হিংসুটে নারী’ উল্লেখ করে আইনজীবী ড. তুহিন মালিক বলেছেন, ‘দরিদ্র্যতার সঙ্গে এ হিংসুটে নারীকেও জাদুঘরে পাঠাতে হবে। তবেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমী আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের কবলে গ্রামীণ ব্যাংক: অসহায় ৮৫ লাখ উদ্যোক্তার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তুহিন মালিক অভিযোগ করে বলেন, ‘হলমার্ক, পদ্মাসেতুসহ সব দুর্নীতির অর্থ পূরণে কুইক রেন্টালের মতো আইন প্রণয়ন করে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থ ডাকাতির প্রয়াস চালাচ্ছে।’
তুহিন মালিক আরও বলেন, ‘একমাত্র গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়া দেশের মসজিদ থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত। অথচ এ গ্রামীণ ব্যাংকেও সরকার তার অপরাজনীতি দ্বারা কলুষিত করার প্রয়াস চালাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকার ইলিয়াস আলী, পরিবেশবাদি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামীর মতো গ্রামীণ ব্যাংকের চরিত্র হরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে আপনি ড. ইউনুসের নোবেল পুরস্কার নিয়ে নিন, তবুও গ্রামীণ ব্যাংককে আপনার রোষানল থেকে মুক্তি দিন।’
সরকারের সমালোচনা করে এ আইনজীবী বলেন, ‘সরকার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে কেউ ড. ইউনুসের পক্ষে কথা বললে সে স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে যায়।’
সংগঠনের উপদেষ্টা এম. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- ভাষা সৈনিক রফিকুল ইসলাম, সংগঠনের সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।