সেন্টমার্টিনে গোসল বন্ধ
সমুদ্র সৈকতে নিরাপত্তায় টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের গোসল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সৈকতের কোথাও অনিরাপদ স্থান আছে কি না তা চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত গোসলে নামা বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তি, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে বিচকর্মী নিয়োগের পর আবার গোসলের অনুমতি দেয়া হবে। সেই সঙ্গে ওই বৈঠকে পর্যটকদের সতর্কতার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হবে বলেও জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের গোসলের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য যেভাবে বিচকর্মী ও লাইফ গার্ডকর্মী সার্বক্ষিণক দায়িত্ব পালন করে থাকে, একইভাবে সেন্টমার্টিনেও তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। দ্রুত কর্মী নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেন্টমার্টিনে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব পর্যটন মোটেল শৈবালের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তসলিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিকুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার সচিব সামশুদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাজুল হাসান, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্বাস উদ্দিন আহমদ, কক্সবাজার পর্যটন পুলিশের ওসি জাকের হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল সেন্টমার্টিনে গোসল করতে গিয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী ভাটার টানে ভেসে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে দু’জন মারা যান। এছাড়া নিখোঁজ হন আরো ৪ ছাত্র। একদিন পর সমুদ্র থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুজনের এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।