জিয়া-তারেকের কেসটা কী?
খবর বাংলা২৪ ডেক্স: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার ছেলে তারেক রহমানের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের পুরানো সার্কিট হাউসে বেগম জিয়া একদিন উদ্বোধনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পুত্র তারেক জিয়া একদিনও যায়নি। জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় তার পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করেন নাই। পুত্র তারেক রহমানও কোনোদিন তার দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন নাই। কেসটা কী?’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘তথ্য সন্ত্রাস ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তাদের এজেন্ট বিএনপি ইতিহাস বিকৃতি করছে। লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাইতে দেখে আইএসআইয়ের মাথায় রক্ত ওঠে যায়। পরে তারা এদেশে তাদের এজেন্টদের খোঁজা শুরু করে। তাদের একজন এজেন্ট ফেরারি আসামি হয়ে লন্ডনে পালিয়ে আছে। তার মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করতে চাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি করে জাতিকে বেশি দিন বিভ্রান্ত করে রাখা যায় না। আল্লাহ জালেমের দোয়া শোনেন না। মজলুমের পাশে থাকেন।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মতিয়া বলেন, ‘আপনি ১৯৯০ সালের সেপ্টম্বর মাসে গুলিস্তানে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এরশাদ জিয়াউর রহমানের হত্যাকারি। এরপর ৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতার যাবার পরে আমি তখন সেই সংসদের সাংসদ ছিলাম। তখন আমি সংসদে দাঁড়িয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেছিলাম, আপনি এরশাদের বিরুদ্ধে আলতু-ফালতু মামলা না দিয়ে খুনের মামলা দেন। তখন তিনি (খালেদা) বললেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকলে আপনি মামলা করুন। আমি তখন বলেছিলাম, সোয়ামী (স্বামী) মরছে আপনার আর মামলা করব আমি।’
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পারছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পিতার মতোই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তিনি কৃষকের জন্য কি না করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে শ্রমিকরা ১ হাজার ৬০০ টাকা বেতন পেতেন। এখন ৫ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পান। শ্রমিকরা আজ শেখ হাসিনার ডাকে জীবন দিতে প্রস্তুত।’
স্বাস্থ্য সেবার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রামে যান, অসুখ হলে এখন কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলেই হয়। মানুষের আয় ৫৪০ ডলার থেকে এক হাজার ৫০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে।’
শিক্ষাখাতের অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আজকে ১ জানুয়ারি সব ছেলে-মেয়ের হাতে নতুন বই। নির্বাচনের আগে সহিংসতার সময়ও ১ জানুয়ারি বই পৌঁছে দিয়েছে সরকার।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘আপনার হেরে গেছেন। আমরা জিতে গেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে যদি আমরা হস্তক্ষেপই করতাম জামায়াত কীভাবে নির্বাচিত হলো। শেখ হাসিনা এই প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু কেউ তার এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না।’
ঢাকা মহগানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, মহানগর সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাজী মোহম্মদ সেলিম, সাংগঠিনক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ ।