খাগড়াছড়িতে পানির জন্য হাহাকার-শুকিয়ে গেছে উৎস
খবর বাংলা ২৪ডেক্স: প্রাকৃতিক বৈরিতায় খাগড়াছড়ির ভূর্গস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ায় জেলায় অধিকাংশ পানির উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় খাবার পানির সংকট মারাত্মক চরম আকার নিয়েছে। জেলার ৮ উপজেলার দুই তৃতীয়াংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ায় ও পানির উৎস গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পাহাড়ি এলাকায় পানির জন্য হাহাকার পড়েছে। দীর্ঘ ৯ মাসেরও অধিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে আহরিত পানির উৎস গুলো পানি শুন্য হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় মাইলের পর মাইল দূরের পথে পানি আহরিত করেও দুষিত পানি পান করে নানা পানিবাহিত রোগের শিকার হচ্ছে। প্রতিবছর জেলায় এই সময়ে পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হলেও জেলায় প্রাকৃতিকভাবে সৃজিতভাবে বনাঞ্চল গুলো বিরান হয়ে যাওয়ায় এ বছর পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ায় সংকট চরম আকার নিচ্ছে বলে অভিমত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের।
পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান, এলাকায় ২০০৬ সালে বেশ কয়েকটি গ্রামে ডায়রিয়া মহামারি আকার নিয়ে মারা গেছে বহু লোক। দীঘিনালা মেরুং ইউনিয়নের নয়মাইল সাবেক মেম্বার তরুণ ত্রিপুরা জানান, এলাকার পানির সব উৎস শুকিয়ে গেছে। এলাকার লোকজন খাবার পানির জন্য মাইলের পর মাইল হেটেও নিরাপদ পানি পাচ্ছে না। অনেকেই ড্রামে করে খাগড়াছড়ি সদর থেকে গাড়িতে পানি নিয়ে আসছে।