পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর গুলিবিদ্ধ
করাচি শহরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছেন পাকিস্তানের টেলিভিশন জিও নিউজের প্রধান নির্বাহী হামিদ মীর।
করাচি এয়ার পোর্টে নেমে নিজের সংবাদ মাধ্যমের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে তার গাড়িতে হাম
লা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামিদ মীরের দেহে দুটি গুলি লাগে এবং তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কাছের এক
টি হাসপাতালে নেয়া হয়। ডন জানিয়েছে, হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসায় ইমরানের জ্ঞান ফিরেছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হামিদ মীরের ওপর কারা হামলা চালিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলার দায়িত্বও কেউ স্বীকার ক
রেননি। এর আগেও ২০১২ সালে হামিদ মীরকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সংঘাতপ্রবণ পাকিস্তানে সাংবাদিকরাও জঙ্গিদের হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু। ২০১৩ সালে দেশটিতে অন্তত সাতজন সাংবাদিক নিহত হন বলে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার জানিয়েছে।
হামিদ মীরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন। দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে এই ঘটনায়। উপমহাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উর্দু, হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন লিখে থাকেন হামিদ মীর। জিও টিভিতে তার টক শোও বেশ জনপ্রিয়। হামিদ মীরের বাবা ওয়ারেশ মীর একাত্তরে দৈনিক জং পত্রিকায় বাংলাদেশের পক্ষে কলম ধরেছিলেন। এজন্য বিদেশি বন্ধু হিসেবে তাকে সম্মানিতও করেছে বাংলাদেশ।
বাবার স্বীকৃতিস্মারক নিতে গত বছর বাংলাদেশে এসেছিলেন হামিদ মীর।