ফেসবুক-প্রেমিকাকে হত্যার পর প্রেমিকের আত্মহত্যা
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জয়তী কোরি নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বিনীত সিং নামের ২২ বছরের এক যুবকের। পরিচয় থেকে ভালো লাগা। তারপর প্রেম। কিন্তু বিনীত সিংয়ের সব স্বপ্ন ভেঙে যায় যখন তিনি জানতে পারেন জয়তী কোরি নামে তাঁর প্রেমিকা আসলে একজন মধ্যবয়সী নারী। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর তিন সন্তান রয়েছে।
ফেসবুকে এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে। প্রেমিক বা প্রেমিকার নকল পরিচয় জেনে অনেকেই বিষয়টি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। সব ভুলে যান। কেউ হয়তো সব হেসে উড়িয়ে দেন। কিন্তু বিনীত সিং ঘটনাটি মেনে নিতে পারেননি। রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে জয়তী কোরিকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান বিনীত সিং। মারা যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘সে আমাকে অন্ধকারে রেখেছিল, অন্ধকারে রেখেছিল।’
টিএনএনে প্রকাশিত খবরে জব্বলপুরের পুলিশ সুপার হরিনারায়ণচারী মিশ্র বলেন, ফেসবুকে তিন বছর ধরে দুজনের পরিচয় ছিল। বিনীত সিং বেকার ছিলেন। জয়তী কোরি ছিলেন একজন গৃহবধূ। তাঁর স্বামী কৃষি বিভাগের একজন কর্মচারী। তিন সন্তান তাঁর। বড় মেয়ের বয়স ২১ বছর। ৪৫ বছর বয়সী জয়তী সংসারের কাজের ফাঁকে ফেসবুকে বিভিন্ন জনের সঙ্গে চ্যাট করে সময় কাটাতেন। বিষয়টিকে হয়তো একধরনের বিনোদন হিসেবেই নিতেন তিনি। এভাবেই বিনীতের সঙ্গে পরিচয় জয়তীর।
পুলিশ সুপার মিশ্র আরও জানান, জয়তী তাঁর প্রোফাইল পিকচার হিসেবে একজন চলচ্চিত্র তারকার ছবি ব্যবহার করতেন। ফেসবুকে সম্পর্কের পরে গত শুক্রবার তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। দিল্লিতে একটি পিকনিকস্পটে দুজনে দেখা করতে যান। জয়তী তাঁর পরিবারকে জানান, দুই দিনের জন্য মায়ের বাড়ি যাচ্ছেন। আর ছেলেটি তাঁর বাবা-মাকে বলেন যে তিনি দিল্লিতে কাজের সন্ধানে যাচ্ছেন।
পিকনিকস্পটে গিয়ে জয়তীকে দেখে ও সব শুনে নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বিনীত। তিনি জয়তীকে গুলি করে হত্যা করেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পিকনিক করতে আসা মানুষদের কাছে সাহায্য চান। একপর্যায়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান বিনীত সিং।