দুপুরে মেলার উদ্বোধনী ঘোষণার মধ্য দিয়ে বৈশাখী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নবাগত জেলা প্রশাসককে রৌপ্য মেডেল দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করে। মেলান্দহ পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় জননেতা আলহাজ কিসমত পাশা বৈশাখীর ব্যানারে মেলার তত্ত্বাবধান করেন। ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্বা, সাংবাদিক, কবি, শিল্পী, সাহিত্যক, মানবাধিককার নেতা, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্তরের জনতার ঢল নামে।
মেলার প্রথম দিনে যাদেরকে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয় ভাষা সৈনিক, কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আব্দুল জলিল, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো: দুলাল মিয়া, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির চেয়ারম্যান এস.এম. হাবিবুল্ল াহ হাবিব, মাধবী লতা প্রকাশনীর
চেয়ারম্যান কবি হাসনা হেনা।
অপর দিকে মেলার সমাপনীতে যাদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয় তারা হলেন-নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম, প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গী, নবাগত অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: নাসিমূল ইসলাম, বিশিষ্ট নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা আসাদুল্লাহ ফারাজী এবং পৌর মেয়র হাজী দিদার পাশা।
মেলাকে প্রাণবন্ত রাখতে নাচ, গান, চিত্রাংকন, বিতর্ক, কবিতা আবৃত্তি, নাটক, অভিনয়সহ বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শিল্পী বিপ্ল ব সরকার, আবু তালেব, নিগার সুলতানা এবং ¯’ানীয় পর্যায়ের বহু সংগঠন অংশ গ্রহণ করে। প্রতিদিন মেলায় বৈশাখী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি আলহাজ কিসমত পাশার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্বা আনোয়ার হোসেন মাস্টার, গাজীউর রহমান, আহসান হাবিব শাহজাহান, জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আনসার আলী, উত্তরণ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি ডা: ধ্র“বজ্যোতি ঘোষ
মুকুল, দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক ও মেলান্দহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো: শাহ্ জামাল, হাজরাবাড়ি সিরাজুল হক ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আ: আজিজ, বৈশাখীর কর্মী মাহববুর রহমান হেলাল, রওশন আলম পান্না, সাখাওয়াত হোসেন, এসএম আব্দুল্ল াহ, প্রিন্সিপাল হেলালুর রহমান, সৈকত সাহিত্য সংসদের
উপদেষ্টা শিল্পী আবুল কাশেম আকাশ, প্রভাষক আব্দুর রউফ হীরাসহ বিভিন্ন স্তরের সূধীবৃন্দ বক্তব্যে তাদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।
মেলান্দহে গুণীজন সংবর্ধনা
খবর বাংলা ২৪ডেক্স:
জামালপুরের মেলান্দহে ৫দিনের বৈশাখী মেলায় গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও বৈশাখী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত ৫দিনের বৈশাখী মেলার শুভ উদ্বোধন করেন-জেলা প্রশাসক মো: শাহাব উদ্দিন খান। ওই দিন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন। বাংলার ঐতিহ্য-কৃষ্টি কালচার শোভাযাত্রায় শোভা বর্ধন করে। এর মধ্যে টুপকারচর গ্রামের ফজলুল করিম লিচু মাষ্টারের ১৬টি আইটেম ও উমির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুলের বাংলার শেষ নবাব সিরাজ উদ দৌলার রাজ পরিবার ছিল আকর্ষনীয় বিষয়। এর মধ্যে লিচু মাস্টারের ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলার ছিল নজর কাড়া দৃশ্য। মেলায় যেমন খুশী তেমন সাজন, লাঠি খেলা, নববধুসহ পালকি ইত্যাদির আইটেমে দর্শক মাতিয়ে রাখে।