মাসে আড়াই লাখ টাকা তুলতে পারবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার জব্দ আট ব্যাংক হিসাব থেকে প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা উত্তোলনের সুবিধা দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে খালেদা জিয়ার আয়কর উপদেষ্টার দাবি, যেহেতু সরকার অহেতুক ব্যাংক হিসাব জব্দ করে রেখেছে, তাই সব ব্যাংক হিসাব উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর কর সংক্রান্ত আইনি বিষয়গুলো দেখভালে নিয়োজিত আছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আহমেদ আজম খানের আইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘আজম খান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আহমেদ আজম খান বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আগামী ২৭ এপ্রিল আমাকে সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন। আমি যাব। তবে আমি জানি না এনবিআর ম্যাডামকে কত টাকা উত্তোলনের সুবিধা দেবে। কিন্তু আমি চাই ম্যাডামের সব জব্দ ব্যাংক হিসাব এনবিআর উম্মুক্ত করে দিক। তিনি আরও বলেন, তিন বছর আগে ম্যাডামের ব্যয় নির্বাহের জন্য আড়াই লাখ টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন সময়ের পরিক্রমায় চাহিদা বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে আড়াই লাখ টাকায় ম্যাডামের ব্যয় নির্বাহ এখন সম্ভব নয়। এর আগে ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘অর্থাভাবে প্রায় তিন বছর বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না খালেদা জিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। এরপর প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এনবিআরকে বেগম খালেদা জিয়ার আয়কর ফাইলগুলো খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন আমলে নিয়ে এনবিআর প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা উত্তোলনের সুবিধা দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক হিসাবগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দীর্ঘ ৭ বছর জব্দ করে রেখেছে। প্রতি মাসে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের অনুমতি রয়েছে খালেদা জিয়ার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য মতে, ২০০৭ সালের শেষের দিকে এ ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করেছিল এনবিআর। তখনকার ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করতে নেপথ্যে ভূমিকা রাখে। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাংক হিসাব খোলা হলেও, জব্দ রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব। তিন মেয়াদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব খোলার আবেদন তিন বছর ধরে আটকে আছে এনবিআরে। সংস্থাটির গোয়েন্দা শাখা ‘সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স সেল’-এর (সিআইসি) কাছে ২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাবগুলো খুলে দিতে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান।