তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ সতর্ক আওয়ামী লীগ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা
বিএনপির লংমার্চ এবং জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করা হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সাঈদীর রায়ের পরেই জামায়াত আবারও ধ্বংসাত্দক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে। অতীতে প্রত্যেকটি রায়ের পর তারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলটির নেতা-কর্মীরা মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ সূত্রমতে, বিএনপির তিস্তা অভিমুখে লংমার্চকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে দলটি। কারণ এর আগে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধিয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপিয়েছে বিএনপি। এবার যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখা হবে। দলটির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে তিস্তা অভিমুখের জেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের নৈরাজ্য চালালে স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে নিয়ে তা মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যেসব জায়গায় বিএনপি পথসভা করবে (গাজীপুরের কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায়) এসব থানা এবং জেলার নেতা-কর্মীদের স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, বিএনপির এই লংমার্চ কর্মসূচির রাজনৈতিক রূপের ওপর নির্ভর করছে এটিকে ঘিরে সরকার বা আওয়ামী লীগ কোন ধরনের অবস্থান নেবে। তবে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যে নেত্রী ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার চুক্তির কথাই ভুলে যায় তার মুখে লংমার্চ করার কথা শোভা পায় না। এটা জনগণের স্বার্থে নয়, নতুন করে নৈরাজ্য করার একটি পাঁয়তারা। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলে ভালো না করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কমর্সূচির পক্ষে। বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে তাহলে বাধা নয়, আর নৈরাজ্য করলেই ব্যবস্থা। সাঈদীর রায়ের পর নাশকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনদিন রায় হবে সেটা আদালতের বিষয়। তবে রায়ের পর যেন গত বছরের ন্যায় সারা দেশে তাণ্ডব চালাতে না পারে সে জন্য নেতা-কর্মীরা সতর্ক থাকবে।