শ্রীবরদীতে আনন্দ মেলা শুরু না হতেই টাকা আত্মসাতের ঘটনায়এক মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিত
শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি: শ্রীবরদীর ভায়াডাঙ্গা বাজারে মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে আনন্দ মেলা শুরু না হতেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০ এপ্রিল রবিবার রাতে মোল্লা সোলায়মান নামে এক মেলা কমিটির সদস্য লাঞ্চিত হয়েছে। মেলা কমিটি সূত্রে জানাগেছে, শ্রীবরদীর ভায়াডাঙ্গা বাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে আনন্দ মেলার প্রস্তুতি চলছে। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসক অফিস থেকে অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুমোদন রয়েছে ১০দিন। সম্প্রতি মেলা কমিটি মেলার ব্যয় বাবদ সদস্য ও স্থানীয় ২ শত লোকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা শেয়ার হিসেবে আদায় করে। সার্কাস পার্টির সাথে চুক্তি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা সোলায়মান ও লিয়াকত হোসেনকে দ্বায়িত্ব দেয় হয়। তারা এক সার্কাস পার্টির সাথে যোগাযোগ করে ৩ লক্ষ টাকা চুক্তি করে এবং চুক্তিকৃত টাকা মেলা কমিটির কাছ থেকে নিয়ে ঢাকায় যায়। গত ৫ এপ্রিল থেকে মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সার্কাস পার্টি না আসায় মেলা শুরু হতে বাধার সৃষ্টি হয়। এনিয়ে মেলা কমিটির মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এদিকে মোল্লা সোলায়মান ও লিয়াকত হোসেন ঢাকায় থেকে মোবাইল ফোনে জানায় আরো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সার্কস পার্টিকে না দিলে সার্কাস পার্টি আসবেনা। মোল্লা সোলায়মান গত ২০ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকা নেওয়ার জন্য ভায়াডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা অফিসে আসে। এসময় কমিটি ও স্থানীয় লোকজনের চাপে পরে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে এবং জানায় ভুয়া সার্কাস পার্টি বানিয়ে চুক্তি করা হয়েছে। এনিয়ে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে মোল্লা সোলায়মানকে লাঞ্চিত করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামা কবীর ও মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ মেলা বাবদ ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে মোল্লা সোলায়মান ও লিয়াকত হোসেনের উপর দ্বায়ভার চাপায়। মোল্লা সোলায়মানের নিকট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার দ্বায়ভার চেয়ারম্যান আবু সামা কবীর ও লিয়াকতের টাকার দ্বায়ভার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হামিদ সাজ মাষ্টার গ্রহণ করে এবং ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেয়ার স্বীকৃতি দিলে জনগন শান্ত হয়।