দেড়শ চিকিৎসককে আসামি করে দুই মামলা
খবর বাংলা২৪ ডেক্স:
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দেড়শ শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে । সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় এসব মামলা হয় বলে ওসি খান মো. এরফান বলেন, এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান মাহফুজুর রহমান রুবেল এবং আমার দেশের আলোকচিত্রী আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
দুই মামলাতেই আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় মোট দেড়শ’ শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন-সুব্রত, মিজানুর রহমান, মিঠু, নয়ন, ওবায়দুর রহমান, রনি, শামীম ও পলাশ।
রোববার রাতে এক রোগীর স্বজনের সঙ্গে চিকিৎসকের হাতাহাতির খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামলায় ১০ সাংবাদিক আহত হন। ভেঙে ফেলা হয় বেসরকারি কয়েকটি টেলিভিশনের ক্যামেরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে কর্মবিরতি শুরু করেছেন হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুরে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনকে সভাপতি করে সাত সদস্যের এই কমিটি করা হয়।বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
“তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো কোনো ছাড় দেয়া হবে না।”
হামলার প্রতিবাদসহ তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগের চার জেলায় মঙ্গলবার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাংবাদিকরা। হামলার ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকদের শাস্তি, হামলার সময় ‘নীরব’ থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং ভেঙে ফেলা ক্যামেরার ক্ষতিপূরণ ও আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ব্যয় নিশ্চিত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলার পাল্টা অভিযোগ এনে নিজেদের নিরাপত্তা ও হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মবিরতির কোনো ঘোষণা দেননি জানালেও হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক আ স ম বরকতুল্লাহ স্বীকার করেছেন যে তারা কাজ করছেন না।