অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি: আবেদন হাইকোর্টে খারিজ, মামলা চলবে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই দুই মামলা চলতে বাধা নেই। বিচারপতি বোরহানউদ্দিন ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
আদেশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন দুটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। আইন অনুসরণ করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। বিচারিক আদালতে তিনি প্রতিকার চাইতে পারেন। এসব দিক বিবেচনায় আবেদন খারিজ করা হয়েছে। আবেদন দুটি খারিজ হওয়ায় মামলা দুটির কার্যক্রম চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই। এই দুই মামলায় আগামী ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। ১৩ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন। এতে মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত ও বিচারিক আদালতের নথি তলবের আরজি জানানো হয়। ১৯ মার্চ এই দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন। এই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে (রিভিশান) আবেদন করে খালেদা জিয়া।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি করেন। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।