ফলে সরকারের উদ্দেশ্য যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি জনদুর্ভোগ বাড়ছে । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলোতে তথ্য সেবা কেন্দ্র, স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম , এলজিইডি, ভূমি অফিস, কৃষি অফিস ,আনসার-ভিডিপি অফিস, বিআরডিবি অফিস ,প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জনস্বাস্থ্য অফিস,পরিবার পরিকল্পনা অফিস,প্রাণি সম্পদ অফিস সহ বেশ কয়েকটি দপ্তর আছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে সরকারি কর্মকর্তারা অফিস না করার ফলে কাজের জন্য জনগণকে উপজেলায় আসতে হয়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে , সাধুর পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে কয়েকটি দপ্তর কাগুজে কলমে থাকলেও বাস্তবে কোন কার্যক্রম নেই। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা মাসে ১ বার আসে শুধুমাত্র মিটিং করার জন্য। এরকম অভিযোগ অন্য ইউনিয়নেও পাওয়া গেছে, মেরুরচর ইউনিয়নের মেরুরচর গ্রামের কৃষক গামা মিয়া জানান, কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের ফোন না করলে এলাকায় পাওয়া যায় না।
আবার অনেক সময় আমাদের উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হয়। শুধুমাত্র ভূমি অফিস ও তথ্য সেবা কেন্দ্রের কার্যক্রম ছাড়া আর কোন দাপ্তরিক কাজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাধুর পাড়া ইউনিয়নের কয়েকজন জানান, ইউপি সচিব নিয়মিত অফিস না করায় জনদুর্ভোগ অনেক বেড়ে গেছে।
কয়েকজন চেয়ারম্যানও ইউপি ভবনে অফিস না করায় জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক চেয়ারম্যান উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাক্তিগত অফিস ভাড়া নিয়ে সেখানেই পরিষদের কাযক্রম পরিচালনা করছেন। এতে করে গ্রাম আদালতের বিচার কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান জানান, শিগগিরই ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরগুলোর কার্যক্রম চালু করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগকে শক্তিশালী ও জনগণের দৌর গোরায় সেবা পৌছে দিতে এখনই দপ্তর গুলো চালু করা প্রয়োজন।
বকশীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কাজে আসছে না
খবর বাংলা২৪ ডেক্স: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা অফিস না করায় জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।ফলে কাঙিক্ষত সেবা পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ । ৭ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা গঠিত হয়েছে। এ উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নে কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হলেও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।সরকার ইউপি ভবন তৈরির সময় সেখানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনগণের জন্য কয়েকটি দপ্তর করে জনগণের দৌরগোরায় সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মান করলেও বাস্তবে তার উল্টো। সরকারি কর্মকর্তারা ওইসব ইউপি ভবনের দপ্তর গুলোতে অফিস না করায় দাপ্তরিক কাজের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে উপজেলা সদরে যেতে হয় ।