স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে মেডিকেল সেন্টার সিলগালা
খবর বাংলা২৪ ডেক্স: যাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে, তিনিই আসেননি। অথচ তাঁর নামে ‘মেডিকেল ফিটনেস’ কার্ডে ৩৫ ধরনের পরীক্ষার সন্তোষজনক ফলাফল লেখা রয়েছে। শুধু টাকা নিয়ে সুস্বাস্থ্যের সনদ দিচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বিদেশ যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে ‘স্টার কিউর মেডিকেল সেন্টার’ সিলগালা করে দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ড দেওয়া হয়েছে মালিকসহ পাঁচজনকে। মালিক আর ব্যবস্থাপক দাবি করেছেন, তাঁরা ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণক্ষমতা ও এইডস আছে কি না, এসব চোখে দেখেই বুঝতে পারেন।
দণ্ড পাওয়াদের মধ্যে মালিক আবুল বাশার ও ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দালাল মাহফুজা ইসলাম রেনুকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কর্মী রুনা খানম ও বিবি খাদিজাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা। তিনি বলেন, কাজ করতে বিদেশ যেতে হলে একটি সুস্বাস্থ্যের সনদ নিতে হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট কতগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি (স্টার কিউর) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ছাড়াই তাঁর সুস্বাস্থ্যের সনদ দিচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর দিয়ে ৩৫ ধরনের পরীক্ষার সনদ দিচ্ছিলেন ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান। সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও সেখানে তা ছিল না।
র্যাব জানায়, সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসা এক যাত্রী অভিযোগ করেন, সাড়ে ছয় লাখ টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরই তাঁর ফুসফুসে পানি পাওয়া যায়। এর পরই সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফেরত পাঠায়। অথচ ওই প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া চিকিৎসা সনদে সব ঠিক ছিল। এখন তিনি দেনার দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ওই অভিযানে র্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমিলা নাছরিন চৌধুরী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি যোগেশ চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।