পুতুলকে নাটকীয়ভাবে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
বেনাপোল (যশোর): সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নাটকীয়ভাবে বেনাপোল পোর্ট থানার ঘিবা সীমান্ত থেকে ভারতীয় নাগরিক পুতুল রানী ৫ পিস স্বর্ণ নিয়ে ধরা পড়লে ও তাকে বিজিবি কাছে হস্তান্তর না করে তাকে ছেড়ে দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
২৬ বিজিবি লে. কর্নেল মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার জানায়, আটক পুতুল রানী মণ্ডলকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
কিন্তু বেলা গড়িয়ে যখন সন্ধ্যার ঘনঘটা তখন ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে কমান্ডিং পর্যয়ে বৈঠকে এই স্বর্ণ চোরাচালানিকে থানায় না দিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
আটক পুতুল রানীকে ঘিবার আলমগীরের স্ত্রী জাহানার ১০ পিস স্বর্ণের বার ভারতে পাচারের জন্য দেয়। কিন্তু বিজিবি ক্যাম্পে ৫ পিস বার পাওয়ায় গেছে। জাহানারা জানায়, তাহলে আর ৫ পিস কী বিজিবি হজম করেছে?
পরে জাহানারার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি ধরা পড়ার ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলে তার বাড়ির পাশের জনৈক ব্যক্তি জানান।
এদিকে ঘিবা ক্যাম্পের ইনচার্জ হাবিলদার ইউনুস জানান, সাধারণত চোরাচালানি ধরা পড়লে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয় । কিন্তু কী কারণে অফিসাররা তাকে বিএসএফের সঙ্গে মিটিংয়ের মাধ্যেমে ছেড়ে দিয়েছে তা আমি বলতে পারবো না।
পুতুল রানীকে আটক করা হাবিলদার জালাল উদ্দিনের কাছে সোনার বার ১০টি ছিল কিনা জানাতে চাইলে তিনি জানান, তাকে তল্লাশি করে আমরা ৫টি পেয়েছি। আমরা ১০টি সোনার বার পাইনি।
আপনি এবং আপনার সদস্যরা ৫টি আত্মসাত করেছেন কী-না তা জনাতে চাইলে তিনি জানান, আমরা এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত হই না। তবে তাকে কেনো ছেড়ে দেয়া হয়েছে তা সিও সাহেব বলতে পারবেন।
মোবাইলে সিও সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানারে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুর রহমান জানান, সাধারণত কোনো সাধারণ ব্যক্তিকে আটক করা হলে ফ্লাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে তাকে তার দেশে ফেরত দেওয়ার বিধান থাকলে ও কোনো আন্তর্জাতিক মানের চোরাচালানিকে আটক করলে তাকে থানায় হস্তান্তর করে আদালতে পাঠানো হয়। তবে আমাদের থানায় পুতুল রানী নামে কোনো স্বর্ণ চোরাচালানিকে বিজিবি হস্তান্তর করেনি।
নাম না বলার শর্তে এক এলাকাবাসী জানান, বিজিবি ৫টি স্বর্ণের বার গায়েব করেছে এতে কোনো সন্দেহ নাই। কারণ পুতুলকে বাংলাদেশে জেল হাজতে পাঠালে স্বর্ণের আসল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে। এজন্য সাংবাদিকদের ৫টির কথা জানিয়ে বাকি ৫টি আত্মসাত করেছে বিজিবি।