ঝিনাইগাতীতে পুত্রের হাতে পিতা খুন ! ২০৩ দিন পর ঘাতক পুত্রকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার
মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে:শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও গ্রামে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর পুত্রের হাতে পিতা খুন হওয়ার ২০৩ দিন পর ২৪ এপ্রিল/১৪ গভীর রাতে ঘাতক পুত্র আঃ মজিদ (২৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝিনাইগাতী থানার সুত্রে জানা যায়, গান্ধিগাঁও গ্রামে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর পুত্রের হাতে নির্মম ভাবে খুন হন পিতা আঃ মতিন (৫০)।
এ ব্যাপারে ঘটনার পরের দিন নিহতের ভাই ওমেদালী বাদী হয়ে আঃ মজিদকে বিবাদী করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আর এ মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় তৎকালীন সময়ের এস আই মোখলেছুর রহমানের উপর। কিছু দিন এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলা সময়েই চাকুরীর বদলী জনিত কারণে তিনি অন্য থানায় চলে যাওয়ায় পরবর্তীতে ঝিনাইগাতী থানায় নতুন যোগদানকারী এসআই ফজলে এলাহীর উপর এ মামলার তদন্তভার নেস্ত করেন ওই সময়ের অছি। এসআই ফজলে এলাহী পুত্র কর্তৃক পিতা হত্যা মামলা তদন্তের দ্বায়িত্বটি হাতে নিয়ে মাঠে নামেন, মামলাটির সুষ্ট ও নিরপেক্ষ ভাবে তদন্তের জন্য। ইতি মধ্যে ঘাতক মজিদ পিতাকে হত্যার পর আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মজিদের খোজেঁ হানা দেয় বিভিন্ন স্থানে। অবশেষে ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ঝিনাইগাতী থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (অছি) ফছিউর রহমানের অনুমতি নিয়ে এস আই ফজলে এলাহী সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে চলে যান ভৈরব থানায়। সেখানে গিয়ে ভৈরব থানা পুলিশের সহযোগীতা গুড়াকান্ধা মহল্লার জাকির মিয়ার বাসা থেকে গভীর রাতে ২০৩ দিন পালিয়ে থাকার পর ঘাতক আঃ মজিদ (২৫)কে গ্রেফতার করে ঝিনাইগাতী থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে মামলার আইও ফজলে এলাহী এ প্রতিনিধিকে জানান, এই মামলার তদন্তের প্রায় সকল কাজ সম্পন্ন হলেও মজিদ পলাতক থাকায় মামলাটির চার্জ গঠন করতে বিলম্বিত হয়েছে। যেহেতু মজিদকে আমরা শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পেরেছি, এখন স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ মামলার সুরাহা হয়ে যাবে।