ভারত অংশে ত্রুটির কারণেই তিস্তায় ঢল!

ভারত অংশে ত্রুটির কারণেই তিস্তায় ঢল!

খবর বাংলা২৪ ডেক্স: মৃতপ্রায় তিস্তায় হঠাৎ পানির ঢল নামার পর ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই নদী আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। এর পেছনের কারণ অনুসন্ধান না করেই একে সেসময় সরকার অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতা আর বিরোধী দল লংমার্চের ‘প্রাথমিক’ সাফল্য বলে দাবি করে। শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক কর্মকর্তা জানালেন, ভারতের সেচপ্রকল্পে ত্রুটির কারণেই তিস্তা ব্যারেজের কয়েকটি গেট খুলে দেয়া হয়। এখানে সরকার বা বিরোধী দলের কোনো কৃতিত্ব নেই।

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচি চলাকালে আকস্মিকভাবে ঢল নামে মরা নদীতে। এক লাফে ৩ হাজার ৫০ কিউসেক পানি এসে টইটম্বুর হয়ে পড়ে। সচল হয় সেচ প্রকল্পগুলো। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল নিজ নিজ কৃতিত্ব দাবি করতে থাকে।

কিন্তু পরদিন থেকেই তিস্তায় পানি কমতে থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার নদী আবারো আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছে। শুরু হয়েছে কৃষকের সেই আহাজারি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিস্তার পানি প্রবাহ ৯৫০ কিউসেকের নিচে নেমে গেছে। এ পানি ক্রমান্বয়ে আরো কমে যাচ্ছে।

পানির এ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাউবোর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বাংলামেইলকে জানান, ভারতের গজালডোবা ব্যারেজের মাধ্যমে ভারত যে সেচ প্রকল্প পরিচালনা করছে, সেখানে সেচ খালের ত্রুটির কারণে ব্যারেজের কয়েকটি গেট খুলে দেয়া হয়েছিল। এ কারণে গত মঙ্গলবার হঠাৎ করেই ৩ হাজার ৫০ কিউসেক পানি আসে তিস্তায়।

গজালডোবা ব্যারেজের সেই গেট বন্ধ করায় আবারও মরে যাচ্ছে তিস্তা। সেচ খালে পানি দেখে আনন্দিত কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধির এ বিষয়টি নিয়ে পাউবো কর্মকর্তারা পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। এদিকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিএনপি যখন লংমার্চ কর্মসূচির শুরু করে ঠিক সেই মুহূর্তে তিস্তায় ঢল নামার পেছনে রাজনৈতিক কারণ জড়িত বলেই মনে করছেন অনেকে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাউবোর দোয়ানী-ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, স্বাভাবিকভাবে এপ্রিল মাসে তিস্তার পানি প্রবাহ আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ কিউসেকের মধ্যেই উঠানামা করে। গত ২২ এপ্রিল পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে বিএনপি লংমার্চ শুরু করে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে। তবে লংমার্চ ব্যারেজে পৌঁছার আগেই নদীতে পানি বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তিন হাজার কিউসেক ছাড়িয়ে যায়। তবে বুধবার আবারও কমতে থাকে তিস্তার প্রবাহ।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend