তীব্র যানজটে দুর্ভোগ যাত্রীদের বিদ্যুতের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
খবর বাংলা২৪ ডেক্স: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত ৮ টা পর্যন্ত ওই মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এলাকাবাসী। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রচণ্ড আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ত্রিশালে বিদ্যুতের দুর্ভোগ ও অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে। তারা নিরবচ্ছিন বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করলেও আগে ক্যাম্পাস ছেড়ে আসেনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা মিছিল নিয়ে ত্রিশাল সদরে প্রবেশ করে। মিছিলটি পৌরশহর প্রদক্ষিন করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বিদ্যুতের সাব-স্টেশনে জড়ো হয়। তখন তারা বিদ্যুৎ কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে অফিসের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়। তাদের সঙ্গে এলাকাবাসী যোগ দিলে মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কয়েকশ বাস ট্রাক আটকা পড়ায় যাত্রীরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালেও শিক্ষাথীরা মহাসড়ক থেকে সরে যায়নি। এ সময় তারা আরও তীব্র বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতির অবনতি হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিবুল হাসান রনি নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার আহ্বান জানান। এর মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবকি না হলে আন্দোলন তীব্র করার ঘোষণা দেয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
একজন শিক্ষার্থী জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে রোববার থেকে আবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়ক অবরোধ করা হবে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোলাইান কবীর জানান, বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে লেখা-পড়া করতে পাচ্ছিনা, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সারারাতে গড়ে ২ঘণ্টা বিদ্যুত থাকেনা।
ত্রিশাল বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।