টেন্ডুলকার যদি টি-টোয়েন্টি যুগে জন্মাতেন!
মাত্র একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। আসলে টি-টোয়েন্টির উত্থানই হলো তাঁর পড়ন্ত বেলায়। কিন্তু কেমন হতো যদি লিটল মাস্টার খেলাই শুরু করতেন এই টি-টোয়েন্টি যুগে? বেড়ে উঠতেন ২০ ওভারের ক্রিকেটের উত্তাপ-উত্তেজনা আর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের আবহে? আরও বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবেই হয়তো দেখা যেত ভারতের ক্রিকেট-দেবতাকে। অন্তত গ্রেগ চ্যাপেল তো এমনটাই মনে করছেন।
জীবনে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিত ছিলেন টেন্ডুলকার। প্রায়ই আবির্ভূত হতেন বোলারদের ত্রাস হিসেবে। দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ের মোড়কেই তুলোধুনো করতেন বোলারদের। কিন্তু টেন্ডুলকারের শৈশবে প্রাধান্য ছিল টেস্ট ক্রিকেটেরই। বেশির ভাগ সময় টেস্ট ক্রিকেট দেখেই বেড়ে উঠেছেন কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান। তাঁর ব্যাটিং-হিরোরাও ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটারই।
পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের নতুন ধারাই তৈরি করেছিলেন টেন্ডুলকার। আর তিনি যদি এ সময়ে জন্মাতেন, তাহলে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতেন বলেই মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক কোচ গ্রেগ চ্যাপেল, ‘শচীন যে সময় বেড়ে উঠেছে তখন হয়তো বেশির ভাগ সময় টেস্ট ক্রিকেটই দেখত। আর তখন ওয়ানডের ধরনটাও ছিল অনেকটা টেস্টের মতোই। বেড়ে ওঠার সময়টায় ও যাদের আদর্শ হিসেবে নিয়েছিল, তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে। কিন্তু এখন ক্রিকেট-ভক্তরা অনেক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখে, বিশেষত ভারতে। আর এটাই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মারমুখী হয়ে ওঠার তাড়না জোগায়। নিত্যনতুন ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে বাউন্ডারি মারার প্রবণতা তৈরি করে।’
টেন্ডুলকারও এগুলো দেখে বড় হলে বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হতেন বলেই বিশ্বাস চ্যাপেলের। কিন্তু টেন্ডুলকার কি মানিয়ে নিতে পারতেন টি-টোয়েন্টির দ্রুতগতির সঙ্গে? এমন সংশয় অনেকের থাকলেও চ্যাপেলের নেই। কিন্তু টি-টোয়েন্টি যুগে টেন্ডুলকার কাকে আদর্শ হিসেবে মেনে নিতেন, সেটা ভেবে একটু চিন্তায় পড়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক, ‘শচীন যে রকম অসাধারণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়, তাতে যেকোনো সংস্করণের সঙ্গেই মানিয়ে নিতে পারত। কিন্তু ও কার খেলা অনুসরণ করত?’