আঞ্চলিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই : শেখ হাসিনা
শনিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সার্কভুক্ত দেশের মন্ত্রী পরিষদ সচিবদের সাক্ষাতকালে একথা বলেন তিনি। ঢাকায় তাদের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্কে শান্তি স্থাপন আর আঞ্চলিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। আর এ লক্ষে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের অভিন্ন শত্রু দারিদ্র্য। এর বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ, নারী ও শিশু পাচার এবং অস্ত্র চোরাচালানের বিরুদ্ধে কারো এককভাবে লড়াই করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। সার্ক দেশের প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা রাজনৈতিক নেতাদের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঐকান্তিকভাবে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ বাস করে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে। তাদের সম্মৃদ্ধির জন্য ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাজার অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আর এসব কিছুর সঠিক বাস্তবায়ন এবং দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করতে সার্ক নেতাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আপনাদেরই কাজ করতে হবে।
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তারা বলেন, সার্ক নেতাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ভারতের মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সমন্বয় ও জনস্বার্থ) সতীশ বলরাম অগ্নিহোত্রী, পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব আখলাক আহমেদ তারার, আফগানিস্তানের মন্ত্রিপরিষদের প্রশাসনিক কাউন্সিলের মহাপরিচালক নাজিবুল্লাহ সাদেক মুদাবের, শ্রীলংকার মন্ত্রিপরিষদ সচিব সুমিত আবেসিংহে, নেপালের মন্ত্রিসভার প্রধান সচিব লীলা মানি পদুয়াল, ভূটানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব দাশো পেনডেন ওয়াংচুক, বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এবং সার্কের মহাসচিব অর্জুন বি থাপা।