ভ্রাম্যমান আদালত: আবাসিক হোটেল সিলগালা, যৌনকর্মীদের অর্থদণ্ড
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাউসুল আজম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে হোটেল কর্মচারী শিখুকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও খদ্দের বাবুকে নগদ ১০ হাজার টাকা, জহিরকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও হযরত আলীকে ২ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যৌনকর্মী আসমাকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও সাথীকে ২ হাজার ৫০০ টাকাসহ আরও ৯ যৌনকর্মীকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। হোটেল থেকে একটি পরকীয়া জুটিকেও আটক করা হয়।
গাউসুল আজম জানান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময়ে পুলিশের হাত ফসকে এক হোটেল কর্মচারী পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হোটেলটির মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাসনীম এ হোটেলে অভিযান চালান। কিন্তু তারপরেও হোটেল মালিক অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না করার কারণে হোটেলটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই হোটেল থেকে প্রেমিক প্রেমিকাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা নিজেদের মামাতো ফুফাতো ভাই বোন বলে পরিচয় দিয়েছে। তাদের উভয়ের স্বামী-স্ত্রীকে খবর দেয়া হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের ইতি ও সোনারগাঁওয়ের মোস্তফা।
ইউএনও আরো জানান, অশ্লীলতার বিরুদ্ধে তার অভিযান অব্যাহত থাকবে।