বিসিএস পরীক্ষা ব্যবস্থায় আসছে নানা পরিবর্তন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং পিএসসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি নতুন নিয়মের প্রস্তাবনা ও সুপারিশসহ একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে পিএসসি। এছাড়া ‘বাংলাদেশ সরকারি কমকমিশন ২০১৩ খসড়া নীতিমালা’ ও ‘বিসিএস পরীক্ষা আইন ২০১৩ ‘ বাংলায় প্রণয়ন করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত সুপারিশ অনুযায়ী, আগামীতে বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার পূর্ণমান হবে ৩০০ এবং তিন ঘন্টায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিদ্যমান নিয়মে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এক ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত হয়। আর এ পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা এবং আদিবাসীদের জন্য ৫০ টাকার পরিবর্তে ২৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে বিসিএসের বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীায় ২০০ নম্বরের প্রথম পত্রের পরীক্ষা ৩ ঘণ্টায় এবং ১০০ নম্বরের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা ৩ ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত হবে। বিদ্যমান পদ্ধতিতে দুই পত্রের পরীক্ষারই পূর্ণমান ১০০ এবং তিন ঘণ্টায় প্রতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ১০০ পূর্ণমানের পরীক্ষা ২৫ নম্বরের নিচে ‘নো নম্বর’ হিসেবে বিবেচিত হলেও নতুন নিয়মে ৩০ নম্বরের নিচে এ মান নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মৌখিক পরীক্ষায় পাসের জন্য সর্বনিম্ম ৫০ শতাংশ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এটি ৪০ শতাংশ।
মন্ত্রণালয় এবং পিএসসির একাধিক সূত্র জানায়, ৩৫তম বিসিএস থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে। এ নিয়ম সামনে রেখেই পরীক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তাবনা চূড়ান্ত হলেই ৩৫তম বিসিএসের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে।