তাড়াইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : চিকিৎসকসহ সব পদের বেশির ভাগই শূন্য

তাড়াইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  : চিকিৎসকসহ সব পদের বেশির ভাগই শূন্য

 

download (7)খবর বাংলা২৪ ডেক্স: কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক-সেবিকাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশির ভাগ পদই শূন্য রয়েছে। ফলে চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেবা না পেয়ে বেশির ভাগ রোগীই ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার এই কমপ্লেক্সে ২৮ জন চিকিৎসক পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ছয়জন। ১৭ জন সেবিকার (নার্স) মধ্যে কর্মরত রয়েছেন সাতজন। ফার্মাসিস্টের তিনটি পদের মধ্যে কাজ করছেন মাত্র একজন। চিকিৎসা সহকারীর নয়টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র চারজন।

লোকবল-সংকটের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নির্মিত সম্প্রসারিত ভবনের পুরুষ ও মহিলা রোগীর ওয়ার্ড প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এবং রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে পুরোনো ভবনটিতে চালানো হচ্ছে ৫০ শয্যার কার্যক্রম। নতুন এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম এবং ইসিজি যন্ত্র ও জেনারেটরটি লোকবলের অভাবে অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি ল্যাবরেটরিটিও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। রোগ নির্ণয়-সংক্রান্ত কোনো সেবাই রোগীরা পাচ্ছেন না। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ প্রসূতি বিভাগটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার তাড়াইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কথা হয় ইটনা উপজেলার রায়টুটি গ্রাম থেকে আসা অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে ইটনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে সময় বেশি লাগে। তাই তিনি তাড়াইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন। এখানে এসে দেখে আলট্রাসনোগ্রাম-যন্ত্রটি বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাসেবার জন্য তাড়াইলের প্রায় আড়াই লাখ জনসংখ্যার একমাত্র অবলম্বন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এ ছাড়াও আশপাশের ইটনা, মদন, কেন্দুয়া, করিমগঞ্জ এবং নান্দাইল উপজেলার একাংশের বাসিন্দারা দূরত্বের কারণে এই হাসপাতালে ছুটে আসেন। কিন্তু চিকিৎসকসহ জনবল-সংকটের কারণে বিপুলসংখ্যক রোগী এখানে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘লাকবলের অভাবে দিন-রাত কাজ করে হাঁপিয়ে উঠছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. এহসানুল হক বলেন, লোকবল-সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন মৃণাল কান্তি পণ্ডিত গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন নিয়োগ সাপেক্ষে চিকিৎসক-সংকট থাকবে না।’

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend