বিএনপি-জামায়াতকেও সারেন্ডার করানো হবে: নাসিম
খবর বাংলা২৪ ডেক্স: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘খুলনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারকে আমরা যদি সারেন্ডার করাতে পারি, তাহলে শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি-জামায়াতকেও সারেন্ডার করাতে পারব।’
আজ রোববার রাতে খুলনা মহানগরের ডাকবাংলো চত্বরে খুলনা মহানগর ও জেলা ১৪ দল আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘একদিন খুলনা ছিল সন্ত্রাসীদের জনপদ। মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারত না। আমি সেই খুলনাকে সন্ত্রাসমুক্ত করেছিলাম। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প বসিয়েছিলাম। মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের উন্নয়নকাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে সেই হাসপাতালের উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে। এ সময় আবু নাসের ও সদর হাসপাতালের উন্নয়নে মন্ত্রী ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ থেকে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে নাশকতা সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার সরকারকে উত্খাত করতে চেয়েছিল। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিল, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তারা নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মূর্খ তারেক জিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্য তারই ধারাবাহিকতা। তারেক জিয়া নিজে কোনো বক্তব্য দিচ্ছে না। তাকে দিয়ে বিএনপি-জামায়াত বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়াচ্ছে। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংসদ ও জাসদের নেত্রী শিরিন আক্তার, আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শরিফ শফিকুল হামিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, যুবলীগের নেতা কামরুজ্জামান জামাল, আনিসুর রহমান পপলু প্রমুখ।
এর আগে সকালে মন্ত্রী খুলনায় পৌঁছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল ও খুলনা শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।