সোনা চোরাচালানে জড়িত ১৪ চক্র

image_88210_0খবর বাংলা২৪ ডেক্সঃ সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এমন ১৪টি চক্রের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। শুল্ক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও এসব চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সাম্প্রতিক সময়ে দুটি মামলায় আটক সোনা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এমন তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১৬ মাসে সারা দেশে দুই হাজার ২৭ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। তবে এঁদের অধিকাংশই জামিনে বেরিয়ে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন সময়ে সোনাসহ আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সোনা পাচারকারীদের কাছে বাংলাদেশ এখন একটি নিরাপদ রুট। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সোনা বাংলাদেশ হয়ে চলে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশের বাজারে। পাচার হওয়া সোনার কিছু অংশ মাঝেমধ্যে ধরা পড়ছে ঢাকার হজরত শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে।
সোনা কেন পাচার হয়? এ প্রশ্নের সহজ জবাব পাওয়া গেল শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। তাঁরা জানালেন, বাংলাদেশে প্রতি ১০ গ্রামের জন্য শুল্ক দিতে হয় মাত্র ১৫০ টাকা। আর ভারতে ১০ গ্রামের শুল্ক চার হাজার টাকা। ১০টি সোনার বার ভারতে চোরাইপথে বিক্রি করতে পারলে প্রায় আট লাখ টাকার মতো লাভ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলামও পাচার হওয়ার একই কারণ উল্লেখ করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে সোনা আসে, তা দিয়েই দেশের ১০ হাজার সোনার দোকান চলে। বৈধ পথে কোনো সোনা আমদানি হয় না।
পাচার করা এত সোনা কি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ধরা পড়ছে? এই প্রশ্নে শুল্ক গোয়েন্দার এক কর্মকর্তা বললেন, বেশির ভাগ বড় চালানই নির্বিঘ্নে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তবে পাচারকারীদের মধ্যে যখন অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট হয়, তখনই বড় চালান ধরা পড়ে। ওই কর্মকর্তা জানালেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিমানবন্দরে যে কয়টি বড় চালান ধরা পড়েছে, তার পেছনেও ছিল পাচারকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব।
এই কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরে এর আগে ৪৯ কেজি সোনা আটকের পর প্রতিপক্ষকে সন্দেহ করে পাচারকারীরা। ক্ষিপ্ত এই পক্ষই পরে দুবাই থেকে আসা ১০৭ কেজি সোনা চালানের খবর শুল্ক গোয়েন্দাদের জানিয়ে দেয়। ফলে গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা মূল্যের ওই সোনার চালান আটক করা সম্ভব হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, বাহকেরা ধরা পড়লেও চোরাচালানি চক্র

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend