ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের আদিবাসী পল্লীতে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট

water problemমোহাম্মদ দুদু মল্লিক, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে:শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের আদিবাসী পল্লীগুলোতে শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। হাহাকার পড়ে গেছে পানির জন্য। আদিবাসী পল্লীর লোকজন পুকুর,খাল-বিল, নদী-নালা ও ঝর্ণার পানি পান করে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষেঁ অবস্থিত শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়। আদিবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলার পাহাড়ী গ্রামগুলো হচ্ছে, তাওয়াকুচা, গুরুচরণ দুধনই, পানবর, বাকাকুড়া, গান্ধিগাও, হালচাটি, নওকুচি, গজনী ও ছোট গজনী। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও গ্রামবাসীরা জানায়, আদিবাসী পল্লীর পাহাড়ী গ্রাম গুলোতে মাটির নিচে প্রচুর পরিমানের পাথর থাকায় নলকুপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না। আবার কোন কোন স্থানে সম্ভব হলেও জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাবে শুষ্ক মৌসুমে ভূ-গর্ভস্ত পানির স্তর ১ থেকে দেড়শ’ ফিট নিচে নেমে যাওয়ায় নলকুপ গুলোতে পানি উঠে না। অকেজো হয়ে পড়ে থাকে নলকুপ গুলো। আদিবাসী পল্লীর পাহাড়ী গ্রামবাসীদের পানির সংকট সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় সরকার অত্যান্ত ব্যয়বহুল পদক্ষেপ নিয়ে বেশ কিছু রিংওয়েল নলকুপ স্থাপন করে। কিন্তু তবুও আবার রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে তা বিদ্ধস্ত হয়ে পড়ে আছে। সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ফলে প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ী গ্রাম গুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। চলতি বছর মৌসুমের শুরুতেই গারো পাহাড়ে পানির সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে, ছোট গজনী রাস্তার পাশে একটি কুপ খনন করে গ্রামবাসীদের পানি উত্তোলনের দৃশ্য দেখা গেছে। গ্রামবাসীরা জানায়, ওই কুপের পানি দিয়ে কয়েকটি গ্রামের লোকদের পানির চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছেন। তবে এ পানি বড়জোর ১৫দিন উত্তোলন করা যাবে বলে জানা গেছে। পাশেই গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে একটি নলকুপ দীর্ঘদিন থেকে অকেজো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক পানি সংকট সমস্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে উপর মহলে লেখালেখিও করা হয়েছে। সারা পেলে

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend