তিন ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার, জেল-জরিমানা
ঢাকার ধামরাই ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আটক ওই ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়াসহ জরিমানা করা হয়েছে। সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে একটি হাসপাতাল।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন এবং সাজা দেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর এলাকার মালেকা জেনারেল হাসপাতালের ভুয়া চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন সরকার (৩১), একই উপজেলার ইসলামপুরের আইকন ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের আব্দুস সালাম (৩৩) এবং আশুলিয়ার জিরানী এলাকার অকোটেক্স গার্মেন্টসের মো. সবুজ খান (৩৩)।
র্যাব সূত্র জানায়, সবুজ খান দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন শেখ তৈয়বুর রহমান পরিচয়ে রোগী দেখার পাশাপাশি ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন। এই অপরাধে তাঁকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আব্দুস সালাম ইউনিভারসিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এলিয়েন্স থেকে মেডিকেল আল্টাসনোগ্রাফিতে (সিএমইউ) লেখাপড়া করে নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে রোগী দেখেছেন। এ অপরাধে তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তোফাজ্জল হোসেন সরকারকে বিএমডিসির সনদ ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে রোগী দেখার অপরাধে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সাজা দেওয়া শেষে এসব আসামিদের তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মালেকা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ ধারা লঙ্ঘন করায় এটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ধামরাই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন এবং সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্টদের সাজা ও জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিন বলেন, ভুয়া চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে জনসাধারণ প্রতারিত হচ্ছেন। পাশাপাশি এসব চিকিৎসকদের কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়ছে। এসব বিবেচেনায় র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।